জম্মুর শম্ভু মন্দিরের কাছে ড্রোন হামলার চেষ্টা
শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ জম্মুর শম্ভু মন্দিরের কাছে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। যদিও ভারতের তরফে সেই ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তবে কাছে থাকা একটি বাড়ির ক্ষতি হয়। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলিরও ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে আপ শম্ভু মন্দিরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা।
ভোর ৫টায় অমৃতসরে ড্রোন হামলার চেষ্টা
ভোর ৫টায় অমৃতসরে ড্রোন হামলার প্রচেষ্টা ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ করে দেয়।
কালো ধোঁয়ায় ঢাকছে জম্মু
জম্মু উধমপুরে শোনা যাচ্ছে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ। শহরের মধ্যে আকাশ ঢেকে যাচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে। জম্মু, পাঠানকোট, শ্রীনগর, উধমপুর লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করছে পাকিস্তান। প্রায় প্রতি ২ মিনিট অন্তর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ।
অন্তত দুটি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত, মিলল ধ্বংসাবশেষ
রাতে পঞ্জাবের সিরসায় বিস্ফোরণের পর শব্দ পাওয়া গিয়েছে। খাজা খেদা গ্রামের মাঠে পাওয়া গেল পাক মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ। শনিবার সকালে সেগুলো দেখতে ভিড় জমে গেল মানুষের। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনাস্থলে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
রাতের অন্ধকারেই পাক সেনার ২৬ জায়গায় হামলার ছক বানচাল করল ভারত
বৃহস্পতির পর শুক্রবারও অব্যাহত ভারত-পাক উত্তেজনা। এত ‘মার’ খেয়েও জেদ কমছে না তাদের। ভারতের প্রত্যাঘাত সামাল দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিন্তু তারপরেও চালিয়ে যাচ্ছে হামলা। সন্ধে গড়িয়ে রাত ঘন হতেই ‘অশনি সংকেতের’ মতো বেজে উঠল সাইরেন। আকাশজুড়ে দেখা মিলল লাল লাল আগুনের গোলার মতো বস্তু। জম্মু থেকে পঞ্জাব,রাজস্থান, সর্বত্র যেন এক ছবি। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতের অন্ধকারে জম্মু-কাশ্মীরের উরি-সহ দেশের মোট ২৬টি জায়গায় ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনা। উত্তরে বারামুল্লা থেকে দক্ষিণে ভূজ পর্যন্ত, প্রায় প্রতিটি সীমান্তে, এমনকি নিয়ন্ত্রণ রেখাতেও ড্রোন উড়িয়ে ভারতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা চালায় পাকিস্তানি সেনা। তাদের টার্গেটে ছিল শ্রীনগর বিমানবন্দরও। কিন্তু ভারতীয় সেনার সামনে ধোপে টিকতে পারে না পাক অস্ত্র।
জানা গিয়েছে, বারামুল্লা, ভূজ ছাড়াও পঞ্জাবে পাঠানকোট, ফিরোজপুর, অমৃতসর, ভাতিন্ডাতেও ড্রোন হামলা করে পাকিস্তান। আক্রমণ চলে রাজস্থানের যোধপুর, জয়সলমীরেও। পাক সেনা রুখে দিতে পারলেও, কিছু জায়গায় সাময়িক ক্ষতি করেছে তারা। ভারতীয় জওয়ানদের বাগে আনতে না পেরে দেশের নিষ্পাপ নাগরিকদের উপর হামলা চালাতে এক মুহূর্ত চিন্তা করছে না পাকিস্তান।
হঠাৎ করাচি-ইসলামাবাদ-লাহোরে ফ্লাইটের সংখ্যা দ্বিগুণ
অসামরিক বিমানকে ঢাল করেই হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই হামলার মাত্র বাড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। আর তার কিছু সময়ের মধ্যেই দেখা যায় পাকিস্তানের আকাশসীমায় অনেক বিমান উড়ছে। হঠাৎ করে করাচি, ইসলামাবাদ এবং লাহোরে ফ্লাইটের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ২০-২৫ মিনিটের মধ্যেই এই সমস্ত বিমান র্যাডারে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
কোন চাল চালছে পাকিস্তান?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান এটা করছে যাতে ভারতীয় সেনা ইউএভি (মানবহীন বিমানবাহী যান) এবং পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র সনাক্ত করতে না পারে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার হামলার সময়েও এটি করেছিল। সীমান্তের কাছে প্রচুর সংখ্যক পাকিস্তানি যাত্রীবাহী বিমান উড়ছে। তবে এত প্ল্যান করেও কিছুই করতে পারেনি পাক সেনা। সব প্ল্যান ভেস্তে দেয় ভারত। ৯ মে রাতে জম্মু থেকে পঞ্জাব, রাজস্থান-সহ একাধিক সীমান্তবর্তী রাজ্যে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের, ডিফেন্স সিস্টেম সবই মাটিতে মিশিয়ে দেয়। সূত্রের খবর, রাজস্থানে ভারতীয় সেনা প্রায় ৩০টি পাকিস্তানি ড্রোনকে ভেঙে ফেলেছে।
১৫ মে পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ দেশের ২৪ বিমানবন্দর
ভারত-পাক সংঘাতের মাঝে দেশের সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক বিমানসংস্থার তরফে জারি করা হয়েছে বিবৃতি। ইন্ডিগো থেকে এয়ার ইন্ডিয়া, সবাই যাত্রীদের তরফে সরকারের নতুন নির্দেশিকার কথা জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছে। জানানো হয়েছে, গোটা দেশের ২৪ এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকছে ১৫ মে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।
কেন এই সিদ্ধান্ত? তালিকায় কোন কোন দেশ?
আসলে ভারতের ওপর বারবার হানা দিচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে টার্গেট করে ছোড়া হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন। পাকিস্তানের নজরে রয়েছে কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলি। কিন্তু প্রতিবারই পাকিস্তানের আক্রমণ ঠেকিয়ে দিচ্ছে ভারতের নিজস্ব ডিফেন্স সিস্টেম। তবে, বেশিরভাগ আক্রমণ যেহেতু আকাশপথেই হচ্ছে তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ ভারত সরকার। ফলে অসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে দেশবাসীর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
তালিকায় রয়েছে, শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধর্মশালা, বিকানের, রাজকোট, যোধপুর এবং কিষাণগড়ের মতো এয়ারপোর্ট।