নিউজ ডেস্ক: এভাবে যে চরম শিক্ষা দেবে ভারত, তা বোধহয় কল্পনা করতেও পারেনি পাকিস্তান। চোখের সামনে তখন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে একের পর এক পাক বিমান ঘাঁটি। ভারতের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটিতে হামলার ছক তখন ব্যর্থ হয়েছে। পাল্টা মার দিচ্ছে ভারত। আর তাতেই আতঙ্কে ভুগতে থাকে পাকিস্তান। পাক সেনা প্রধান মুনির তখন লুকিয়ে পড়েছে বাঙ্কারের নীচে। ছন্নছাড়া গোটা পাক বাহিনী। বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণের রাস্তা খোঁজে পাকিস্তান।
১১টি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস পাকিস্তানের…
ভারতীয় বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত প্রত্যাঘাত। আর তাতেই একে একে গুঁড়িয়ে যায় ১১টি পাক বিমান ঘাঁটি। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটির কাছে। এতে পুরোপুরি কেঁপে যায় সেদেশের যুদ্ধবাজরা। বুঝতে পারে, সংঘর্ষ বিরতি ছাড়া আর কোনও গতি নেই। ভারত যদি এই প্রত্যাঘাত চালিয়ে যায়, তাহলে তাদের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। এই আশঙ্কাতেই পরিত্রাণের পথ খুঁজতে থাকে তারা।
কোন সেনা ঘাঁটি ধ্বংস?
১০ মে ভোর রাত। ভারতীয় বিমান বাহিনী আঘাত হানে পাকিস্তানের ১১টি সেনা শিবিরে। এগুলি হল রফিকুই, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুকুর, চুনিয়ান, পাসরুর ও সিয়ালকোট। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, ১০ মে ভোর রাতে পাকিস্তানের এই বিমান ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান।
স্যাটেলাইট ছবিতেও পরে দেখা গেছে কীভাবে মাটিতে মিশে গেছে এই সব চত্বর। উড়ে গেছে এয়ার স্ট্রিপ। ধ্বংস হয়েছে হ্যাঙ্কার। রহিম ইয়ার খানের এয়ারবেসের রানওয়েতে বড় গর্ত হয়ে গেছে। পাসরুর, চুনিয়ান ও আরিফওয়ালায় এয়ার ডিফেন্স রাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজে সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে গেছে। সাংবাদিক বৈঠক করে তা তুলে ধরেছেন সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা।
ভারতের প্রত্যাঘাতের কৌশলগত তাৎপর্য..
ভারত যে প্রত্যাঘাত করেছে, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাওয়ালপিন্ডির কাছে চাকলালায় নিশানা। সেখানকার নূর খান এয়ারবেস ধ্বংস হয়ে গেছে। এটা পাক সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এখান থেকেই তারা স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফট অপারেশন চালাতো। সেনা জওয়ানদের লজিসটিক্যাল সাপোর্ট দিত। মাঝ আকাশে বিমানে রিফুয়েলিংয়ের জন্যও ব্যবস্থা হতো। সবদিক থেকেই পাক সেনার অন্যতম সাপোর্ট বেস ছিল এই ঘাঁটি।
এই ঘাঁটি থেকেই পাক পরমাণু ঘাঁটির দিকে নজর রাখা হয়। পাক সেনার সদর দফতরও বলা চলে এই চাকলালা বিমান ঘাঁটি।
স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যায়, সারগোধার মুশাফ এয়ারবেসেও ক্ষতি হয়েছে মারাত্মক। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের কিরানা পাহাড়ের নীচে যে পরমাণু কেন্দ্র আছে পাকিস্তানের, তার সঙ্গে যোগ আছে মুশাফ এয়ারবেসের। ফলে চিন্তায় পড়ে যায় পাকিস্তান। যদিও এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানিয়েছেন, পাকিস্তানের কিরানায় পরমাণু কেন্দ্র আছে কিনা, তা তাদের জানা নেই। এমনকি ওই অঞ্চলে কোনও প্রত্যাঘাতও করা হয়নি।
কিন্তু এই নূর খান আর সারগোধায় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রত্যাঘাত করার পরই পিলে চমকে যায় পাকিস্তানের। তাদের আশঙ্কা হতে থাকে, এবার আক্রান্ত হতে পারে পাক পরমাণু ভাণ্ডার। তখন থেকেই তারা সংঘর্ষ বিরতির রাস্তা খুঁজতে থাকে।
যে কোনও হামলার জবাব দিতে তৈরি ভারত…
এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানান, তুর্কিশ ড্রোন হোক বা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের ড্রোন হোক, তা অচল করে দিতে সক্ষম ভারতের প্রযুক্তি। নাম না করে চিনকেও জবাব দেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, নতুন ভারতের নতুন পরাক্রম। একের পর এক ছবি দেখিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন, পাকিস্তান সেনা বা সাধারণ পাক নাগরিককে এড়িয়ে শুধুমাত্র পাক যুদ্ধাস্ত্র অচল করে দিতে কীভাবে স্পেসিফিক জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
ক্রিকেটের উদাহরণ টেনে জবাব ডিজিএমও-র
ভারত কীভাবে নাস্তানাবুদ করেছে পাকিস্তানকে, তার জন্য টেস্ট ক্রিকেটের উদাহরণ তুলে আনেন ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। এদিনই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি। সেই হিসেবেই কথা টানেন ডিজিএমও। তুলে ধরেন সত্তর দশকের টেস্ট ক্রিকেটের কথা। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে অ্যাসেজ সিরিজের উত্তেজনা তখন চরমে ছিল। অস্ট্রেলিয়ার দুই ফাস্ট বোলার ছিলেন তখন জেফ থমসন ও ডেনিস লিলি। তারা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনকে পুরো শুইয়ে দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ারা বলতো, অ্যাসেজ টু অ্যাশেস, ডাস্ট টু ডাস্ট। থমসন না পারলে লিলি শেষ করে দেবে। সেই একইভাবে প্রত্যাঘাত চালিয়েছে ভারত। এটা একটা সিরিজের মতো। পরপর হামলা। একটি ব্যর্থ হলে অপরটি নিশ্চিত আঘাত হানবে। আর এভাবেই শেষ হয়ে যাবে পাকিস্তানের যাবতীয় কারিকুরি। একথাই ক্রিকেটের উদারণ টেনে বোঝাতে চেয়েছেন ডিজিএমও।