নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাক দ্বিচারিতা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ৭টি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল তৈরি করেছে কেন্দ্র। বিশ্বের মোট ৩৩টি দেশে যাবে এই প্রতিনিধি দলগুলি। বিভিন্ন দলের মোট ৫১ জন নেতা এই প্রতিনিধিদলগুলিতে আছেন। প্রথমেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ৫টি দেশে যাবে তাঁরা। একইসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ১০ দেশেও পাঠানো হচ্ছে প্রতিনিধিদল। একাধিক প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া, জাপানে পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লির দূতেরা। আর সেখানে তাঁরা সোচ্চার হলেন পাকিস্তানের কুৎসিত চক্রান্ত নিয়ে।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলা থেকে অপারেশন সিঁদুর পর্যন্ত, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিটি ইস্যুতেই সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে বিরোধী শিবির। সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়নি। এবার বিদেশের মাটিতে দেশের পক্ষ রাখতে ‘বিপক্ষ’কেই ভরসা করতে চলেছে মোদী সরকার।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের জঙ্গিবাদের মুখোশ গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায় ভারত। শুধু রাষ্ট্রসংঘ নয়, সেই লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভারত থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। ওই প্রতিনিধিদলে শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরেরই সাংসদরা থাকবেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পাক সন্ত্রাস বিরুদ্ধে ভারত যে একজোট সেটা বুঝিয়ে দিতেই প্রতিনিধি দলে রাখা হচ্ছে বিরোধী দলের সাংসদদের।
রাশিয়া-জাপানে সোচ্চার দিল্লির দূতেরা
মস্কোতে ডিএমকে সাংসদ কানিমোজিকে বলতে শোনা গিয়েছে,”একটা ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যে, পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ। বারবার এই কথা বলে চলেছে তারা। আমরা পরিষ্কার করে দিতে চাই আসল সত্যিটা। সেই সঙ্গেই আমরা জানাতে চাই, ভারতকে পরমাণু হামলার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা যাবে না। আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য লড়ব। আর একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। ভারত শান্তির পক্ষে।”
অন্যদিকে, টোকিওতে ইসলামাবাদের মুখোশ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অভিষেক বলেন, “ভারত কখনও মাথানত করবে না, আমরা এখানে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে এসেছি। আমরা মোটেও ভীত নই। আমি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা। পাকিস্তানকে যে ভাষায় বোঝে সেই ভাষাতেই শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। যদি সন্ত্রাস পাগলা কুকুর হয়, তবে পাকিস্তান তাকে লালন পালন করছে। বিশ্বে সকলকে একজোট হয়ে ওই লালন পালনকারীকে প্রতিরোধ করতে হবে। নইলে ওই লালন পালনকারী আরও পাগলা কুকুরের জন্ম দেবে। ভারত দায়বদ্ধ তাকে শিক্ষা দিতে।” ভারত কীভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল, সে বার্তা পাকিস্তানের কাছে পৌঁছে দিতে সোশাল মিডিয়াকে কাজে লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
এই সিদ্ধান্তের প্রভাব
বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী পাকিস্তানের আসল রূপ তুলে ধরার পাশাপাশি ৩৩টি দেশে এই প্রতিনিধি দলগুলি যাওয়ার প্রভাব রয়েছে সুদূর প্রসারি। জাপানের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি পরিষদের চেয়ারম্যান তাকাশি এন্ডো অভিষেকদের সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানের পাশে থাকার কথা জানান। এরপর অভিষেকরা জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়ার সঙ্গে টোকিওতে বৈঠক করেছেন। সেখানে ভারত ও জাপানের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করেছেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী। জাপানের বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন অভিষেকরা।
আসলে পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তান কীভাবে প্রত্যক্ষে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে, সেটা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায় ভারত। আগামী দিনে পাকিস্তানের উপর নিষেধাজ্ঞা-সহ একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপে বন্ধু প্রয়োজন নয়াদিল্লির। সেজন্যই বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের আসল রূপ তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা।
অন্যদিকে, ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান তুলে ধরার জন্য মিশর, কাতার, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকারী ৭ নম্বর প্রতিনিধি দলে অংশ নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। এদিন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারত, এই অঞ্চলগুলি এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য সন্ত্রাসবাদ যে গুরুতর হুমকি তৈরি করেছে সে সম্পর্কে বিশ্ব জনমতকে অবহিত করছে। একই সাথে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র বিশ্বকে সংগঠিত হওয়ার বার্তাও দিচ্ছে দেশ। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে পাকিস্তান রাষ্ট্র, তাদের সামরিক নেতৃত্ব দ্বারা লালন-পালন, অর্থায়ন এবং আশ্রয় দেয়। তাই এটি এমন কিছু যা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই চলতে দেওয়া যায় না। সকল দেশই ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে এবং আমরা তাদের পদক্ষেপকে প্রণাম জানাই”।
কেন সিন্ধু চুক্তি বাতিল করেছে ভারত? কারণ ব্যাখ্যা দিল্লির
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে দিল্লি। যা নিয়ে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। বারবার দাবি করছে, ভারত নাকি এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক সরকারের এই মিথ্যাচার ধুয়ে দিল ভারত। পাক সন্ত্রাসের বলি নিরীহ ভারতীয়রা। যার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত। দিল্লি নয় ইসলামাবাদই এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। স্পষ্ট জানালেন ভারতের প্রতিনিধি।
অতীতে বহুবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে বিঁধতে চেয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু কোনওবারই হালে পানি পায়নি তারা। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে দিল্লিকে তোপ দাগতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি। কিন্তু সমস্ত মিথ্যাচার টেনে ছিঁড়ে দিয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থানী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ বলেন, “পাকিস্তানের উপর আস্থা রেখে, বিশ্বাস করে ৬৫ বছর আগে ভারত এই চুক্তি করেছিল। যার প্রস্তাবনায় বলা করা হয়েছিল, চুক্তিটি সদিচ্ছা ও বন্ধুত্বের উপর ভিত্তি করে সম্পাদিত হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে সেই বিশ্বাস, বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখেনি। প্রায় সাড়ে ছয় দশক ধরে পাকিস্তান এই চুক্তির অবমাননা করেছে। ভারতের বুকে ৩টি যুদ্ধ ও হাজার হাজার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে পাক সন্ত্রাসীরা। গত চার দশক ধরে ২০ হাজারের উপর নিরীহ ভারতীয় এই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা পাকিস্তানের নৃশংসতার প্রমাণ।”
প্রসঙ্গত, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল না করার আর্জি নিয়ে সম্প্রতি ভারত সরকারকে চিঠি লিখেছে ইসলামাবাদ। তাদের দাবি, এই চুক্তি বাতিলের ফলে অভূতপূর্ব সংকটের পরিস্থিতি পাকিস্তানে। কোথাও জলকষ্ট, কোথাও বন্যা পরিস্থিতি। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেশবাসীর শুকিয়ে মরার অবস্থা। এই সংকট থেকে বাঁচতে ভারতের কাছে কাকুতি-মিনতি করছে পাকিস্তান। তবে পড়শি দেশের হাজার অনুরোধেও চিড়ে ভিজবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। কয়েকদিন আগেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত। যতদিন না সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ করবে পাকিস্তান, ততদিন এই চুক্তি বাতিল থাকবে।”
আর কোন কোন দেশে যাবে প্রতিনিধি দল?
উল্লেখ্য, জাপানের পর অভিষেকদের প্রতিনিধিদল আরও চারটি দেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও যাবেন এবং পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন। অন্যদিকে আবার কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়া ও ইজিপ্টে যে প্রতিনিধি দল যাচ্ছেন, সেই দলে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। রওনা হওয়ার আগে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”গত ৪৫ বছরে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত জুগিয়ে চলেছে। আমরা বিভিন্ন দেশে যাব এবং পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দেয়, তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এবং সীমান্তে পাঠায় সন্ত্রাস ছড়াতে সেই চক্রান্ত ফাঁস করে দেব।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই সাত সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, “একটাই মিশন, একটাই বার্তা— ঐক্যবদ্ধ ভারত। এই দলগুলি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থান তুলে ধরবে।”
প্রতিনিধি দলে আর কারা রয়েছেন?
শশী থারুর-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যাবে আমেরিকা, যেখানে তাঁর কূটনৈতিক জ্ঞানকে কাজে লাগাতে চায় সরকার।
আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং গুলাম নবি আজাদ যাবেন মুসলিম প্রধান সৌদি আরবে, যাতে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা সম্ভব হয়।
অন্যান্য প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন রবিশংকর প্রসাদ (বিজেপি), সঞ্জয়কুমার ঝা (জেডিইউ), বৈজয়ন্ত পাণ্ডা (বিজেপি), কানিমোঝি করুণানিধি (ডিএমকে) এবং সুপ্রিয়া সুলে (এনসিপি)।
যদিও সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের কথা বলা হলেও, কংগ্রেস প্রস্তাবিত চার সাংসদের মধ্যে মাত্র একজন— আনন্দ শর্মা-কে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বাইরে থেকে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ ও মণীশ তিওয়ারিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রয়েছেন ইউসুফ পাঠান।
পহেলগাঁও হামলা
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জেরে ২৬ জন নীরিহ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। এরপরই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত করে ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তান ভারতের মাটিতে ড্রোন হামলা করার চেষ্টা করলেও তার ব্যর্থ হয়। মুখ থুবড় পড়ে পাকিস্তান। এরপর ১০ মে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
কেন ‘অপারেশন সিঁদুর’ কে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে চায় ভারত?
এই ধরণের হামলা ইতিহাসে প্রথমবার করা হয়েছে। এই হামলা পাকিস্তানের হৃদয়ে আঘাত করেছে যেখানে জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়ে ছিল। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এই হামলা করার অর্থ হল পাকিস্তানের হৃদয়ে অভিযান চালিয়েছে ভারত। এর আগে ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে উরি এবং পুলওয়ামাতে ভারত যখন জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা করছিল সেটা ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং খাইবার পাকতুনখাওয়াতে আঘাত এনেছিল। ২৫ মিনিটের এই অপারেশনে ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এগুলির মধ্যে চারটি ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। এর মধ্যে ভাওয়ালপুর ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। এটি ইন্দো-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
১৯৭১ সালের পর এই প্রথম পাঞ্জাব প্রদেশে এই ধরণের সাফল্য এসেছে ভারতের ঝুলিতে। যেভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনী পাঞ্জাব প্রদেশের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা করেছে তাতে দিশেহারা অবস্থা পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সব মিলিয়ে সীমান্তপারে পাকিস্তান যে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে তাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই এই প্রতিনিধি দল কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, ইন্দিরা গান্ধী আমেরিকার সঙ্গে বিবাদের পর প্রথম পরামর্শ নিয়েছিলেন বাজপেয়ীর কাছে। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন সেই বাজপেয়ী। সেই সৌজন্য আজকের রাজনীতিতে বিরল। কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্রে বারবার দেখা গিয়েছে, জাতীয় স্বার্থে একজোট হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধী শিবির। অপারেশন সিঁদুরের পরও সেই একই ছবি দেখা যেতে চলেছে।