নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে এখন নাটক চলছে। নাটক ঘরে। নাটক বাইরে। রুদ্ধদ্বার ঘরে বৈঠক করে নাটক করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস। আর বাইরে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নাটক করছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে যে পাপেট বা পুতুল প্রশাসন চলছে, তা সারা বিশ্বের কাছেই হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে।
পুতুল প্রশাসকের গোড়ার কথা
সময়টা ১৯৮৬ সাল। আরাকানসের গভর্নর বিল ক্লিন্টন। তখন থেকেই ইউনূসের সঙ্গে আলাপ তাঁর। পরবর্তী সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন বিল ক্লিন্টন। আর তিনিই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি বাংলাদেশ সফরে আসেন। ২০০০ সালে তিনি ঘুরে দেখেন বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কাজ। তবে এর সঙ্গেই কি অন্য পরিকল্পনা ছিল আমেরিকার? ভবিষ্যতের দিকে তাকালে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ইউনূস। আর ২০০৭ সালে বাংলাদেশে নিজের দল গড়তে চান তিনি। সেবার ব্যর্থ হন। তবে প্রশাসক হিসেবে বাংলাদেশের মাথায় বসতে সফল হন ২০২৪ সালে। যে ক্লিন্টন পরিবারের খুবই কাছের ছিলেন তিনি, সেই ডেমোক্র্যাট দলই কাজে লাগায় ইউনূসকে। কোটি কোটি টাকা ঢেলে বাংলাদেশে হাসিনা সরকার ভেঙে ফেলার চক্রান্ত করা হয়। দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে বসানো হয় ইউনূসকে। বহু বছরের পরিকল্পনা সাধিত হয় আমেরিকার।
ইউনূসকে দিয়ে কী করাতে চায় আমেরিকা?
প্রথমেই বাংলাদেশের হাত থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দখল চায় আমেরিকা। হাসিনা সরকারের আমলেই এব্যাপারে চাপ দিতে থাকে তারা। কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের কথায় আমল দেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তাই তাঁকে সরানোর প্লট তৈরি হয়। হাসিনা পরবর্তী জমানায় বাংলাদেশের মাথায় বসানো হয় ইউনূসকে। এ ইউনূস ডেমোক্র্যাটদের একেবারে নিজের লোক। হিলারি ক্লিনটনের পিছনে প্রচুর টাকা ঢেলেছিল এই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। সেটা ২০১৬ সালের ঘটনা। তবে ইউনূসকে গদিতে বসিয়েই সেন্ট মার্টিন দখলের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে আমেরিকা। ঠিক হয়, ১৭০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে সেখানে ঘাঁটি গড়বে আমেরিকা। ইজারা নিয়ে তৈরি হবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি।
সেন্ট মার্টিন নিয়ে কী লাভ আমেরিকার?
এই দ্বীপ থেকেই চিন ও ভারতের দিকে নজর রাখতে চায় আমেরিকা। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই শক্তি এখন মাথা ব্যথার কারণ ওয়াশিংটনের। তারা বুঝতে পারছে, বিশ্বের শক্তিধর দেশ হিসেবে দ্রুত উপরে উঠে আসছে ভারত। চিন অনেকদিন ধরেই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই চিনকে ব্যতিব্যস্ত করতে তারা হংকং ও তাইওয়ানের বিদ্রোহীদের মদত দিতে চাইছে। সেই পরিকল্পনা ঠিকমতো সফল না হওয়ায় মায়ানমার সংলগ্ন এই সেন্ট মার্টিন দ্বীপে চোখ ফেলেছে তারা। এখান থেকে চিনের উপর নজর দেওয়ার পাশাপাশি চোখ রাখা যাবে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর দিকে। বহু দিন ধরেই তারা এনিয়ে তক্কে তক্কে ছিল। ইউনূস ক্ষমতায় বসতেই এব্যাারে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাইডেন প্রশাসন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বদল হওয়ায় সাময়িক ছেদ পড়ে সেই চেষ্টায়। তবে নতুন করে আবার সেই উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম-রাখাইন করিডর বিবাদ
আমেরিকার হাতের পুতুল হিসেবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ পর্যন্ত একটা করিডর বানাতে চায় আমেরিকা। সেই উদ্যোগে সায় দিয়েছেন ইউনূস। কিন্তু বাদ সেধেছেন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান। সেনাদের নিয়ে ডাকা দরবারে তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, এটা ব্লাডি করিডর। এটা কখনও করতে দেওয়া যাবে না। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে পাশে বসিয়েই এই বার্তা শুনিয়ে দিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। আর এতেই তুঙ্গে উঠেছে দু তরফের বিবাদ। সেনাপ্রধান কীভাবে দেশের শীর্ষ প্রশাসকের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইউনূস ঘনিষ্ঠরা। এটা যে ইউনূসের ভাবমূর্তিকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে, তা স্পষ্ট। একইসঙ্গে স্পষ্ট হয়ে গেছে, আমেরিকার পাপেট প্রশাসন হিসেবে কী করতে চাইছেন তাঁরা।
এই ‘ব্লাডি করিডর’ আসলে কী?
আদতে এই করিডর বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে সংযুক্ত করার উদ্দেশ্যে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠানোর স্বার্থে এই করিডর নির্মাণ করা হচ্ছিল। আমেরিকা দেখাতে চেয়েছিল, মানবিকতার নজির হিসেবে করিডর তৈরি করা হবে। তবে সেখানেও চালে ভুল করেন ইউনূস। তাঁর বিদেশ বিষয়ক পরামর্শদাতা তৌহিদ হুসেন সেনার সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই একতরফা ঘোষণা করেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমেরিকার প্রস্তাবিত রাখাইন করিডর নির্মাণে রাজি। তৌহিদের এই বক্তব্য বাংলাদেশ সেনাকে অগ্রাহ্য করার সমান ছিল।
কেন ‘ব্লাডি করিডর’ নামকরণ?
এই করিডর নির্মাণকে রেড লাইন অতিক্রম করার সমান মনে করছে বাংলাদেশ সেনা। প্রকাশ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে তারা। ইউনূসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সেনা এই ব্লাডি করিডর নির্মাণে অংশ নেবে না যা দেশের জন্য ক্ষতিকারক। কাউকে এমন করার অনুমতিও দেওয়া হবে না।’এই করিডর তৈরির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ক্রমশই মায়ানমারের গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে, যা হতে দিতে চান না সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধানের মতে, গৃহযুদ্ধ এবং ভূমিকম্পের কারণে জর্জরিত লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়াই এই করিডর নির্মাণের উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করা হলেও, আসলে তা হবে না। এতে সমস্যা বাড়বে বাংলাদেশের।
করিডর নিয়ে কী আশঙ্কা?
এমন কথাও মনে করা হচ্ছে যে আমেরিকা নিজের ফায়দার জন্যই এই প্রজেক্ট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে পাপেট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইউনূসকে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও এই রাখাইন করিডর নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন। তাঁর বলেছিলেন, রাখাইন অঞ্চলে আরাকান সেনার মতো বিদ্রোহীদের গতিবিধি এবং মায়ানমারে তাদের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ সম্প্রতি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে আরাকান সেনার একাধিক ঘাঁটিতে কব্জা করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সীমান্ত পারে হাতিয়ার পাচার, সন্ত্রাসবাদী গতিবিধি এবং অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা রাখাইন করিডর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি আরও জটিল করে দিতে পারে। বাংলাদেশে আগে থেকেই ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন। করিডর খুলে গেলে মায়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ শরণার্থী বাংলাদেশে এসে হাজির হবে।
লালমণিরহাট বিমানঘাঁটি, বাংলাদেশের নয়া কৌশল
শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ঠিকই । কিন্তু তিনিই কাজ করছেন বাংলাদেশের সকল দিকে অস্থিরতা বজায় রাখতে। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এব্যাপারে তাঁরা তুলে ধরছেন, বাংলাদেশের উত্তরে রংপুরের কথা। সেখানে লালমণিরহাটে বিমানঘাঁটি নতুন করে বানাতে চাইছে বাংলাদেশ প্রশাসন। বলা ভালো, মুখ্য প্রশাসক মুহম্মদ ইউনূস। এখানে চিন ও পাকিস্তানের তল্পিবাহকের কাজ করতে চাইছেন তিনি। তাদের হাতের পুতুল হিসেবে কাজ করছেন।
কেন চর্চায় লালমণিরহাট?
লালমণিরহাটের এই বিমানঘাঁটি কেন চর্চায়, তা জানতে হলে এই জেলা তথা এই বিমানঘাঁটির অবস্থান বুঝতে হবে। বাংলাদেশের উত্তরে রংপুর বিভাগের উত্তরতম জেলা হল লালমণিরহাট। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের এই জেলাটির। সীমান্ত থেকে ওই বিমানঘাঁটির দূরত্ব বড় জোর ১৫ কিলোমিটার। আর চিকেনস নেক বা শিলিগুড়ি করিডর থেকে লালমণিরহাটের বিমানঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ১৩৫ কিলোমিটার।
নজরবন্দি চিকেনস নেক?
শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেনস নেকে নিশ্বাস ফেলতেই কি এই বিমানঘাঁটিকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চাইছে বাংলাদেশ? সুবিধা করে দিতে চাইছে চিন ও পাকিস্তানকে? ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যের একমাত্র স্থলসংযোগ যেহেতু শিলিগুড়ি করিডর, তাই এই করিডর নিয়ে বিশ্ব জুড়েই ভূ-রাজনীতি তথা ভূ-কৌশল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা রকমের চর্চা চলে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডরের কোনও কোনও অংশের প্রস্থ মাত্র ২০-২২ কিলোমিটার। এর একপাশে নেপাল, অন্য পাশে বাংলাদেশ। উত্তর-পূর্বে কিছুটা গেলে ভুটান। আর ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে চিন সীমান্ত। অর্থাৎ ভারতের দুই অংশের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী এই সঙ্কীর্ণ ভূখণ্ডের চার দিকে অন্য চারটি দেশের অবস্থান। তাই ভূ-কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে শিলিগুড়ি করিডর খুবই ‘সংবেদনশীল’। স্বাভাবিক কারণেই ভারত সরকার এই করিডরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ মাত্রায় সতর্ক থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান নিয়ন্ত্রকেরা সম্ভবত শিলিগুড়ি করিডরের সংবেদনশীলতা আর একটু বাড়িয়ে তুলতে ইচ্ছুক। তাই বিমানঘাঁটি পুনরুজ্জীবনের অছিলায় শিলিগুড়ি করিডরের পূর্ব দিকে চিনকে পা রাখার জায়গা করে দিতে চাইছেন ইউনূস।
ভারতের কাছে স্পর্শকাতর
শিলিগুড়ি করিডর শুধু তার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই সংবেদনশীল নয়। অর্থনৈতিক এবং সামরিক দিক দিয়েও ভারতের জন্য এই ভূখণ্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সংযোগকারী দু’টি জাতীয় সড়ক এবং দু’টি ব্রডগেজ রেলপথ এই অংশের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এই অংশ দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরিবহণ হয়। বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্থলপথে ভারতের বাণিজ্য চলে এই করিডর হয়ে। ভারতের স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার খুব গুরুত্বরপূর্ণ একাধিক ঘাঁটিও শিলিগুড়ি করিডর এবং তাকে ঘিরে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, শিলিগুড়ি করিডরের খুব কাছে চিনের সঙ্গে ভারতের দুটো বড় সীমান্ত সংঘাতও ঘটে গিয়েছে। ১৯৬৭ সালে নাথু লায় এবং ২০১৭ সালে ডোকলামে। তাই এই করিডর নিয়ে ভারত বরাবরই ‘স্পর্শকাতর’। শিলিগুড়ি করিডরের নিরাপত্তা কোনও ভাবে সামান্যও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে দেখলেই ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়।
নিশানা উত্তর-পূর্ব ভারত?
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কথাবার্তায় আসলে বার বার উত্তর-পূর্ব ভারতে নাক গলানোর অদম্য ইচ্ছা প্রকাশ পাচ্ছে। বাংলাদেশে তাঁর সমর্থকেরা প্রকাশ্যে বলছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। ইউনূস আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতায় সে সব কথা প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না। কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা মোড়কে ওই কথাই বলার চেষ্টা করছেন। উত্তর-পূর্বে নাক গলানোর চেষ্টাই করছেন। লালমণিরহাটে চিনা সহযোগিতায় বিমানঘাঁটি তৈরি করতে চাওয়া সেই প্রচেষ্টায় নবতম সংযোজন।
রংপুরে কোন তৎপরতা?
চিনা প্রতিনিধিদের ইতিমধ্যেই রংপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের একটি প্রতিনিধিদলকেও সম্প্রতি রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে রংপুর তথা লালমণিরহাটকে কেন্দ্র করে ইউনূসের বাংলাদেশ কোন ছক কষছে, সে দিকে ভারত সতর্ক নজরই রাখছে।
কেন এই তৎপরতা?
রংপুর বিভাগকে ঘিরে এত তৎপরতা কেন, তা-ও বোঝা দরকার। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়েও রংপুর পাকিস্তানি বাহিনীর দুর্ভেদ্য ঘাঁটি ছিল। লালমণিরহাটের সামরিক বিমানঘাঁটি তখন সচল ছিল না। তা সত্ত্বেও রংপুরে পাক বাহিনীর অবস্থান দৃঢ়ই ছিল। পাক বাহিনীর ওই শক্ত ঘাঁটিগুলোকে এড়িয়ে ভারত সরাসরি ঢাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পেরেছিল বলে পাক সেনা আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু সীমান্ত লাগোয়া সামরিক চৌকিগুলি রক্ষার উপরে জোর না দিয়ে দেশের ভিতরের শহরগুলিকে আরও দুর্ভেদ্য করে তুলতে পারলে এত দ্রুত পরাজয় হত না বলে তাদেরই অনেকের অভিমত ছিল। যদিও পাক বাহিনীর অন্দরেই পাল্টা মতও ছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালের যুদ্ধে কোথায় কেমন পরিস্থিতি ছিল, সে কথা মাথায় রেখে ইউনূস এখন ঘুঁটি সাজানোর চেষ্টা করছেন কি না, তা নিয়ে কোনও কোনও মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
পুতুল ইউনূস
এভাবেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে ঘুঁটি সাজানোর খেলায় মেতে উঠেছেন ইউনূস। খেলায় মেতে উঠেছেন বলার চেয়ে বলা ভালো, তাঁকে নিয়ে খেলছে আমেরিকা, পাকিস্তান, চিন। যার যেমন দরকার, সেই কাজ করিয়ে নিচ্ছে তারা। আর নিজের স্বার্থে দেশকে বিক্রি করে দিতে চাইছেন ইউনূস। এই আওয়াজ উঠছে এখন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেই। ঢাকায় অনেকেই বলছেন, এভাবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে পথে বসিয়ে ইউরোপ বা আমেরিকায় পালিয়ে যাবেন ইউনূস। বাংলাদেশ পড়ে থাকবে ছেঁড়া পুতুল হয়ে।