নিউজ ডেস্ক: বাংলার বুকে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ভোট পরবর্তী হিংসায় বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের নাবালিকার। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ বিধানসভার মোলান্দি গ্রামে। মৃতের নাম তামান্না খাতুন (১০)। অভিযোগ ভোটের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূল কর্মীরা সিপিআইএম সমর্থকদের উপর বোমাবাজি করে। সেই সময় ওই নাবালিকা বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এরপর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঠিক কী ঘটেছিল?
কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গত ১৯ জুন উপনির্বাচন হয়। সোমবার উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ ছিল। গণনার শুরু থেকেই ব্যবধান বাড়াতে বাড়াতে এগিয়ে চলেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। যখন তৃণমূলের জয় নিশ্চিত সেই সময় গোটা কালিগঞ্জ বিধানসভা জুড়ে বিজয় উল্লাস মিছিল শুরু হয়। বাজি ফাটিয়ে সবুজ আবির উড়িয়ে রাস্তায় চলছিল বিজয় মিছিল। তখনও গণনা শেষ হয়নি, তৃণমূল প্রার্থীসহ সব নেতৃত্ব কাউন্টিং হলেই ছিলেন। গোটা জেলার পুলিশও ছিলেন কাউন্টিং সেন্টারে,সেই সময় কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের মোলান্দি গ্রামে মিছিল বের করে তৃণমূল। বামেদের অভিযোগ, সেই মিছিলে বাম কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে সকেট বোমা নিক্ষেপ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই বোমার আঘাতে বাড়ির সামনেই মৃত্যু হয় দশ বছরের নাবালিকা তামান্না খাতুনের।
নিহতের পরিবারের তরফে কালীগঞ্জ থানায় ২৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আনোয়ার শেখ, মনোয়ার শেখ, আদর শেখ এবং কালু শেখ নামে চারজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাকিদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চলছে। ধৃতদের বাড়ির আশেপাশের এলাকায় চলে ব্যাপক পুলিশি তল্লাশি। বাঁশবাগান, পাটক্ষেত— সর্বত্র খোঁজ চলছে বোমা বা বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না।
পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তামান্না কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যুক্ত ছিল না। সে ছিল একজন স্কুলছাত্রী। অথচ রাজনৈতিক হিংসার বলি হতে হল এক নিষ্পাপ শিশুকে। আর রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
হাড়োয়ার স্মৃতি
তবে এমন ঘটনা রাজ্যে প্রথম নয়, সাত বছর আগে এরকমই এক ভোটের আবহে বোমা বিস্ফোরণে হাড়োয়ার এক নাবালিকার হাত উড়ে গিয়েছিল৷ যদিও তাঁর পরিণতি ছোট্ট তামান্না খাতুনের মতো হয়নি। বোমার আঘাতে বাঁ-হাত উড়ে গেলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন নাবালিকা পৌলমী হালদার৷ দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলার পর সুস্থ হয়ে একরত্তি মেয়েটি বাড়িতে ফিরেছেন ঠিকই, তবে মানসিক যন্ত্রণা প্রতিনিয়ত কুঁড়ে কুঁড়ে খায় তাকে। বিশেষ করে সেদিনের সেই ভয়াবহ স্মৃতি আজও দগদগে হয়ে রয়েছে তার মনে! সেই যন্ত্রণায় ভোটের সময় প্রাণহানি ঠেকাতে হিংসা বন্ধে করুণ আর্তি পৌলমীর।
সেদিনের সেই ছোট্ট পৌলমী আজ কৈশোরে পা দিয়েছে। বয়স হয়েছে ১৫ বছর। পড়াশোনা করছে দশম শ্রেণিতে। কালীগঞ্জের ঘটনা শুনে কিশোরীর বক্তব্য,”এরকম ঘটনা কেন বারবার ঘটছে তা প্রশাসনের দেখা উচিত। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা বয়সে এখন যথেষ্ট ছোট৷ ভোটের বিষয়ে কিছুই জানি না। তা সত্ত্বেও কালীগঞ্জে ছোট্ট মেয়েটার জীবন চলে গেল! ভোটের সময় কেন বারবার শিশুদের টার্গেট করা হয় তা বুঝতে পারি না। আমার মতো ওই নাবালিকা মেয়েটাও ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল না। তার পরেও বোমার আঘাতে মরতে হল ওকে। এরকম ঘটনা আর কারোর সঙ্গে যেন না-ঘটে। ভোটে হিংসা বন্ধ হোক। প্রত্যেকেই আমরা মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে পারি৷ সেটাই চাই।”
কালীগঞ্জের ঘটনা নিয়ে কী বলছে পৌলমীর পরিবার ?
এ নিয়ে কিশোরীর ঠাকুরমা কাঞ্চন হালদার বলেন, “প্রত্যেক ভোটের সময় এভাবে কেন মানুষের জীবন যাবে ? এটা তো ঠিক নয়। কালীগঞ্জের ওই মেয়েটি একেবারে ছোট । সে কিছুই জানে না ভোটের বিষয়ে । তারপরও রাজনৈতিক হিংসায় ওর জীবনটা শেষ হয়ে গেল । এগুলো বন্ধ হোক, প্রশাসন এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিক । সেই আর্জি জানাচ্ছি আমরা।”
গত ২ ফেব্রুয়ারি নদিয়ার পলাশীর বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন কালীগঞ্জের তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে লাল। ৭১ বছর বয়সী বিধায়ককে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ২০১১ ও ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কালীগঞ্জ আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন। তাঁর মৃত্যুতে কালীগঞ্জ আসন ফাঁকা হয়ে যায়। নিয়ম মেনে সেখানে উপনির্বাচন হয়েছে। আর সেই উপনির্বাচনের ফলাফলের দিন বোমার আঘাতে প্রাণ গিয়েছে ওই নাবালিকার৷
শুরু রাজনৈতিক তরজা
রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তরজা। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, ভোটে হার মেনে নিতে না পেরে শাসক দলের কর্মীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছে, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, দোষীদের দলীয় পরিচয়ে রক্ষা করা হবে না।
অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে তীব্র নিন্দা করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করছে। কাল রাত পর্যন্ত চারজন গ্রেফতার হয়েছে। এরা কোন দলের সেটা বড় কথা নয়, যারা এমন কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হওয়া উচিত।”
রাজ্যের ‘দ্বিমেরু’ রাজনীতি কালীগঞ্জের ভোটে কতটা প্রভাব ফেলল?
রাজ্যের ‘দ্বিমেরু’ রাজনীতি যে কালীগঞ্জের ভোটে প্রভাব ফেলবে, তা আগেই ঠাওর করে উঠতে পেরেছিল তৃণমূল ও বিজেপি। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তুলে ধরা পরিসংখ্যানেও দেখা গেল সেই মেরুকরণের ছোঁয়া। আর শুধু শুভেন্দুই নয়। কালীগঞ্জের ভোটের হারের পরে বিজেপির অন্দরে কিন্তু বজায় রয়েছে খুশির জোয়ার। বিজেপির একাংশের দাবি, হিন্দু ভোটের ৭৪ শতাংশেরও বেশি তারা পেয়েছে। যা বাংলার বুকে নাকি ঐতিহাসিক।
এদিন তিনি লেখেন, ‘হিন্দু সংখ্য়াগরিষ্ঠ বুথের প্রায় সবগুলোতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের এই ঐক্যের চিত্র গোটা রাজ্যজুড়েই ফুটে উঠবে। যার মাধ্যমে রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ধ্বজ ওড়ানো সম্ভব হবে।’ তবে একদিকে যেমন হিন্দু ভোটেই ধার বাড়ছে বিজেপির। তেমনই মুসলিম ভোটে হচ্ছে ক্ষয়। মঙ্গলবার সেই কথা স্বীকার করে নেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, ‘কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে মুসলিম অধ্যুষিত সিংহভাগ বুথগুলিতে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট হয় একক সংখ্যায় অথবা পঞ্চাশের গন্ডি পেরতে পারেনি। এককথায় বিজেপি প্রার্থী মুসলিমদের ভোট পাননি।’ সেই প্রসঙ্গে একটি তালিকাও তুলে ধরেন তিনি। তবে এই ক্ষয়ে তাদের বিশেষ কিছু যায় আসে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিরোধী নেতা। কারণ, হিন্দু সংখ্য়াগরিষ্ঠ ভোট রয়েছে তাদের কাছে, দাবি শুভেন্দুর।
যদিও বিজেপি হিন্দু ভোট বেড়েছে বলে জাহির করলেও, নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত পরিসংখ্যান তা বলছে না। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পেয়েছিল ৫৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৩০ শতাংশ ভোট ও কংগ্রেস পেয়েছিল ১১.৯৮ শতাংশ ভোট। যা ২০২৫ সালে উপনির্বাচনে এসে ঠেকেছে, তৃণমূলের ৫৫ শতাংশ ভোট, বিজেপির ২৮.২৯ শতাংশ ভোট ও বাম সমর্থিত কংগ্রেস পেয়েছে ১৫.২১ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ চলতি বছরে বিজেপি বাদে প্রায় সবারই ভোট বেড়েছে। একা বিজেপির ক্ষয় হয়েছে ২ শতাংশ ভোট। যা সম্ভবত গিয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের কোটায়।
উপনির্বাচন সাধারণত শাসকদলের অনুকূলে যায়, এরকম একটা ধারণা আছে বটে। কিন্তু সবসময়ই যে তা সঠিক নয়, দেশের বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের সদ্য উপনির্বাচনে তা স্পষ্ট হয়ে গেল। গুজরাটে আপ জয়ী হয়েছে। কেরলে শাসক সিপিএমকে হারিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। ২০২৪-এর পর বাংলায় যে ১১টি উপনির্বাচন হয়েছে, তার প্রত্যেকটি অবশ্য তৃণমূলের দখলেই গিয়েছে। সেটা শুধু শাসকদল হওয়ার সুবাদে বলাটা অতি সরলীকরণ হয়ে যাবে।
বিজেপি প্রচার করে থাকে, হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করা গেলে বাংলার মসনদ দখল শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সেই প্রচারটাকেও ধাক্কা দিয়ে গেল কালীগঞ্জ। মোথাবাড়ি, সামশেরগঞ্জ বা মহেশতলা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই প্রচারটাকে তুঙ্গে তুলেছিল বিজেপি। বিশেষ করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলতে শুরু করেছিলেন, আর ৪-৫ শতাংশ হিন্দু ভোট পেলে বিজেপির জয় অবধারিত। কালীগঞ্জ সেই ধারণাটির মূলে কুঠারাঘাত করেছে। বরং অতি মেরুকরণের ধাক্কায় কালীগঞ্জে পদ্মের ভোট কমে গিয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ।
অমিত মালব্যর টুইট
এ প্রসঙ্গে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সম্প্রতি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করে জানিয়েছেন, কালীগঞ্জ উপনির্বাচন (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে বুথভিত্তিক বাস্তবতা যাচাই-
১। হিন্দু অধ্যুষিত ১০৫টি বুথের মধ্যে (যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ৭০% এর বেশি) ১০২টিতে বিজেপি এগিয়ে।
২। হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দলের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে – ৫০% এর বেশি হিন্দু ভোটার নিয়ে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।
৩। ২০২১ এবং ২০২৪ সালের তুলনায় হিন্দু ভোটার সংখ্যা কম থাকা সত্ত্বেও, বিজেপি হিন্দু ভোটের ৭৪% একত্রীকরণ লক্ষ্য করেছে।
৪। মুসলিম জনসংখ্যা ৫০% এর বেশি এমন একটি বুথেও বিজেপি এগিয়ে নেই।
ধরণটি স্পষ্ট – একটি নির্ণায়ক হিন্দু একত্রীকরণ চলছে। ঠিক যেমন ২০১১ সালে হিন্দু বাঙালি ভোট বামপন্থীদের উৎখাত করেছিল, ঠিক তেমনি ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটাতে আরও তীব্র ঢেউ বইছে।
বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের হারানো গর্ব পুনরুদ্ধার করবে এবং ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির কল্পনার জন্মভূমি সুরক্ষিত করবে – এমন একটি বাংলা যেখানে হিন্দু বাঙালিরা মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে বাস করবে।
সংখ্যালঘু এলাকায় এককাট্টা হচ্ছে হিন্দু ভোট? কারন কী?
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হিন্দু ভোট এককাট্টা হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই প্রবণতা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন সমীকরণ তৈরি করছে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হিন্দু ভোটাররা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দিকে ঝুঁকছেন, যা আগে দেখা যায়নি। এর কয়েকটি কারণ হতে পারে:
রাজনৈতিক মেরুকরণ: সংখ্যালঘু তোষণ বা সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, যা হিন্দু ভোটারদের একটি নির্দিষ্ট দলের দিকে টানছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর প্রভাব: কিছু ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু কার্যকলাপ বা পদক্ষেপ হিন্দু ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে, যা তাদের এককাট্টা হতে উৎসাহিত করছে।
সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক অধিকার: সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক অধিকার এবং প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, হিন্দু ভোটাররা নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য এককাট্টা হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এই প্রবণতা আগামী নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই নতুন সমীকরণ মাথায় রেখে কৌশল তৈরি করতে হবে।