নিউজ ডেস্ক: মাইগ্রেন; শব্দটির সঙ্গে আজ পরিচিত নয় এমন লোকজন পাওয়া ভার! আসলে ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ, রোজগারের পরিশ্রম, ক্লান্তি, অবসাদ, ঘুমের অভাব ইত্যাদির সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে করতে ঘরে ঘরে আজ ভুগতে হচ্ছে এই মাইগ্রেনের সমস্যায়। তবে মাইগ্রেনের সমস্যার কারণকে সব সময় মানসিক ভাবাটা ভুল। মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়া-কমার পিছনে কিন্তু রয়েছে খাদ্যাভ্যাসেরও প্রভাব। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন খাবার বাড়াতে পারে এই অসুখের ব্যথা।
অতিরিক্ত নুন জাতীয় খাবার: শরীরের জন্য অবশ্যপ্রয়োজনীয় উপাদান হল লবণ। কিন্তু এই লবণই খাবারের মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রবেশ করা শুরু করলে হাই ব্লাড প্রেশার, হার্টের রোগের সম্ভাবনা বাড়ার পাশাপাশি বৃদ্ধি পায় মাইগ্রেন যন্ত্রণাও।
পুরনো ও ফুড প্রসেসিং খাবার: ফার্স্ট ফুড সহ যে কোনও পুরনো খাবার, ফ্রিজে রাখা খাবার এবং ফুড প্রসেসিং করা খাবারে থাকে টায়রামাইন, যেটি আদতে বাড়ায় মাইগ্রেনের সমস্যা।
অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার: ফ্রিজ থেকে বের করা চিল্ড ওয়াটার বা অন্য যে কোনও খাবার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিলে অথবা অতিরিক্ত গরম চা বা খাবারও সাথে সাথে খেয়ে ফেললে সমস্যা করে মাইগ্রেনের।
অ্যালকোহল-মদ-সিগারেট: গবেষণা বলছে, যাদের দীর্ঘসময় ধরে অ্যালকোহল- মদ-সিগারেটের নেশা রয়েছে, মাইগ্রেনে ভোগার হার তাদের মধ্যে অধিক দেখা যায়। পাশাপাশি তাদের হৃদরোগ কিংবা নানা মানসিক সমস্যাতেও ভুগতে দেখা যায়।
চকলেট বা ছত্রাকজাতীয় খাবার: চকলেট বা সেই রকম খাবার, যা বেটা ফেনিলেথিলামিন বা ক্যাফাইন দিয়ে মিষ্টি বানানো হয়, সেই সব খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সমস্যা বাড়ে এই অসুখের। আবার ইস্টজাতীয় খাবারও বাড়ায় মাইগ্রেনের প্রবণতা।
বর্তমানে সাধারণ মানুষের বেসামাল জীবনযাপন, মানসিক চিন্তা এমনিতেই আমদানি করে থাকে বিভিন্ন রোগের, তার উপর অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া এবং ভেজাল আরও সুগম করে রোগের আধিক্য। তাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পুষ্টিবিদদের মতামত নিয়ে অবশ্যই মেনে চলা উচিত বয়স ও শরীরের চাহিদা অনুসারে সঠিক খাদ্যাভ্যাস।