নিউজ ডেস্ক: উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে পুরুলিয়া। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। রাজ্যপালের পিস রুম থেকে জেলা সফর। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর শান্তির আবেদন সত্বেও বাড়ছে রাজনৈতিক হানাহানিতে মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি প্রশাসনের রাশ ক্রমশ আলগা হচ্ছে!
রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন হাড়োয়ার বাসিন্দা পরিতোষ মন্ডল। সোমবার ভোরে রহস্যজনক ভাবে ওই তৃণমূল কর্মীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় তার বাড়ির বেশ কিছুটা দূরে। পুলিশের দাবি বোমা বাধার সময় মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। বিস্ফোরণে আহত হন আরও এক। আহত ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫। যদিও পরিবারের দাবী পরিতোষ বোমা বাঁধতে পারতেন না। এর আগের ২৪ শে জুন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল শেখ নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির।
অন্যদিকে পুরুলিয়ার মানবাজার এলাকার কেন্দাডি গ্রামে বঙ্কিম হাঁসদা নামে এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূলের লোকজন তাকে খুন করেছে। মৃতদেহ আগলে রেখেছে বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং পরিবারের লোকজন। বেশ কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তার বচসা হয়েছিল। স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ধরনা প্রদর্শন শুরু করেছে।