নিউজ ডেস্ক: নাকের ডগায় অথচ অলক্ষ্যে বেড়ে ওঠা প্রাণঘাতী রোগ ক্যানসার। দেহের যেকোনও স্থানে ক্যানসার হতে পারে। তবে মহিলাদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় ২৩ লক্ষ মহিলা স্তন ক্য়ানসারে আক্রান্ত হন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে এই রোগ সেরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে তার জন্য প্রয়োজন প্রাথমিক ভাবে নিজেই তা শনাক্ত করতে পারা ও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
ক্যানসার রোগের বৈশিষ্ঠই হল শরীরের কোনও স্থানে অত্যধিক হারে কোষ বিভাজনের ফলে কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি না হয়ে দ্রুত বৃদ্ধি হওয়া। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার দেহে এই মারণ রোগ বাসা বেঁধেছে কিনা? ল্যাবে পরীক্ষা না করলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না হলেও এই প্রাথমিক উপায়ে পরীক্ষা করলে কিছুটা বোঝা যায়।
স্তন ক্য়ানসারের লক্ষণ
স্তনের কোনও অংশ ফুলে যাওয়া- নিয়মিত স্তনের পরীক্ষা করলে লক্ষণগুলি সম্পর্কে সজাগ থাকা যায়। স্তনের পরীক্ষার সবচেয়ে ভালো সময় স্নান করে উঠে পরীক্ষা করা। স্নান সেরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করতে হবে স্তনের কোনও অংশে কোনও ফোলা ভাব দেখা যাচ্ছে কিনা। অস্বাভাবিক কোনও ফোলা নজরে পড়লে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
লাম্প বা মাংসপিন্ডের অনুভূতি- স্নান সেরে উঠে দুই আঙুলের ডগা দিয়ে গোলাকার গতিতে হালকা করে স্তনের উপর চাপ দিতে হবে। স্তনের মধ্যে কোনও লাম্প বা মাংসপিন্ড জাতীয় বস্তু আঙুলে ঠেকলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার।
স্তন বা স্তনবৃ্ন্ততে ব্যথা- স্তনের আকার পরিবর্তন হলে বা স্তনবৃন্ততে ব্যথা অনুভব হলে তা স্তন ক্যানসারের প্রাথমিক স্টেজ হতে পারে।
স্তনের ত্বকের পরিবর্তন- স্তনের অংশ দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশিমাত্রায় সংবেদনশীল। ফলে স্তনের ত্বকে কোনও রকম পরিবর্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে স্তনের ত্বক লালচে বা শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও বৃন্ততে ব্যথা হওয়া।
তরলের ক্ষরণ হওয়া- স্তন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল স্তন থেকে অস্বাভাবিক তরলের নিঃসরণ হওয়া। সাদা তরল (স্রাব) বা রক্ত মিশ্রিত তরল এর মধ্যে অন্যতম। এই ধরণের কোনও লক্ষণ দেখতে পেলে ডাক্তারের সঙ্গে শীঘ্রই যোগাযোগ করা উচিৎ।
প্রতি ছমাসের মধ্যে স্তন ক্যান্সার এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ে বাড়তে পারে। তাই স্তনের আকার এবং গঠনের পরিবর্তন খুব ভাল করে পরীক্ষা করা উচিত। এর ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে ই সতর্ক হওয়া যায় এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব।