নিউজ ডেস্ক: মতের অমিল হওয়ায় কংগ্রেস ছেড়ে স্বতন্ত্র দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে একা হাতে সেই দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। কিন্তু মাত্র দু’মাসের মধ্যে বদলে গিয়েছে সমস্ত সমীকরণ। শরদ পাওয়ারের পরিবর্তে তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারকে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে চাইছে দল। নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে বিষয়টি পরিস্কারভাবে ইতিমধ্যে জানিয়েও দিয়েছে তারা।
বুধবার সূত্রের খবর, উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই দলের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাতে সিলমোহর দিয়েছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) ৪০ জন বিধায়ক, সাংসদ ও এমএলসি। উল্লেখ্য শিবসেনায় ফাটলের পর চলতি বছরে শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কেবলমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেখিয়ে একদল বিধায়ক কোনও মতেই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এমনকি, দলত্যাগ বিরোধী আইনেরও তারা সাহায্য নিতে পারেবন না। শীর্ষ আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে মাথায় রেখে আইনি জটিলতা এড়ানোর জন্য নাকি বিষয়টি এনসিপি’র তরফে আগেই জানান হয়েছিল কমিশনকে।
ঘটনাচক্রে এদিন বান্দ্রার এমইটি কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনেও অজিত পাওয়ারকেই দলের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন ছগন ভুজবল, প্রফুল্ল পাটেল, দিলীপ পাটিল, সুনীল তটকররা। এমনকি, অজিত নিজেও বলেন সরকারে যোগ দেওয়ার আগেই নাকি দলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। কমিশনকে লেখা চিঠিতে তারাই ‘আসল’ এনসিপি বলে দাবি করে দলের নাম এবং প্রতীকও দাবি করেছেন অজিত শিবির। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এই পদক্ষেপ আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ। আর তাই মঙ্গলবার সকালে কমিশনের কাছে একটি হলফনামা দিয়ে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে তাঁর শিবির। এমনকি, দলত্যাগী বিধায়ক ও সাংসদদের পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে কমিশনকে একটি চিঠিও লিখেছেন শরদ ঘনিষ্ট জয়ন্ত পাটিল।
অন্যদিকে আবার বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অজিত। সেইসঙ্গে ৮২ বছর বয়সে দলের প্রধান হয়ে থাকার জন্যে তাঁর কাকা শরদ পাওয়ারকেও কটাক্ষ করেন তিনি।
যদিও এই সমস্ত বিষয় নিয়ে চিন্তিত নন কুশলী মারাঠা রাজনীতিক শরদ। বুধবারই তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে বৈঠকে তিনি সাফ জানান, তাঁর কাছ থেকে দলের প্রতীক কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “দলের আদর্শ যদি কর্মীদের মধ্যে থাকে, তাহলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমি বহু প্রতীকে লড়েছি।”