নিউজ ডেস্ক: দু’দেশের মধ্যে রীতিমতো সাপে নেউলে সম্পর্ক। দু’দেশের সীমান্ত, পাকিস্তান নিয়ে প্রায়ই চাপানউতোর চলে তাদের। তা সত্ত্বেও ব্যবসার জন্যে সেই চিনের উপরই ভরসা করতে হচ্ছে ভারতকে!
দেশের এক শীর্ষ সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাশিয়ান তেল আমদানির জন্যে চিনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহার করছে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা।
এতদিন ধরে তেল কেনাবেচার জন্যে মূলত মার্কিন মুদ্রা ডলার ব্যবহার করত গোটা বিশ্ব। এমনকি চিনও ছিল সেই তালিকায়। তবে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর বদলে গিয়েছে সমস্ত সমীকরণ। এই আক্রমণের কারণে পশ্চিমি দুনিয়ায় রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাশিয়ার উপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। যার প্রভাব পরে আন্তর্জাতিক ব্যবসা মহলে। রাশিয়ার সঙ্গে ডলারের মাধ্যমে ব্যবসা বন্ধ করে দেয় সমস্ত দেশ। অগত্যা অন্য দেশের মুদ্রার উপর নির্ভর করতে হয়েছে গোটা বিশ্বকে। এমনকি, এতদিন ডলারের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে দেশের অধিকাংশ তেল কিনতো চিনও। কিন্তু বর্তমানে দেশীয় মুদ্রা থেকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে জিংপিং’এর দেশ।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার থেকে দেশের ৮০ শতাংশ তেল কেনে ভারত। যারমধ্যে সবথেকে বেশি আসে ইন্ডিয়ান অয়েলের ঘরে। যদিও এতদিন পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মুদ্রা দিরহাম ব্যবহার করে দুবাইয়ের সংস্থার মাধ্যমে এই ব্যবসা করত তারা। বছরের শুরুতে রাশিয়ান তেল কেনার জন্যে চিনা মুদ্রা ব্যবহার করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড বলে সূত্রের খবর। তালিকায় ভারতের আরও দুই বেসরকারি তেল পরিশোধক সংস্থাও রয়েছে। তবে চিনা মুদ্রায় ঠিক কতটা পরিমাণ তেল কেনা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশীয় মুদ্রাকে আন্তর্জাতিকীকরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছিল বেজিং। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘ ‘ঠাণ্ডা লড়াই’এর কারণে রাশিয়ান তেল কেনার ক্ষেত্রে চিনা মুদ্রার আগেই বিরোধিতা করেছে ভারত। এমনকি, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে দেশীয় মুদ্রা ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল ভারত। যদিও তাতে সম্মতি জানায়নি পুতিন সরকার। এখন দেখার দেশীয় সংস্থাগুলির ইউয়ানে বাণিজ্যের সিদ্ধান্তে কি পদক্ষেপ নেয় ভারত।