নিউজ ডেস্ক: খেতে ভালোবাসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। ইলিশ আর চিংড়ি নিয়ে দুই বাংলার লড়াই সবসময়ের। সঙ্গে যোগ হয় আরো হরেক রকমের পদ। তবে ইদানিং স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালিদের পাত থেকে তেল-মশলা-কষার গুরুপাকের পদ রোজই বাদ যাচ্ছে। আর সেই জায়গা পূরণ করে নিচ্ছে বিদেশি ওটস, বেকড বিনস আর কিনোয়া। এই সব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও পকেটে ভালোই টান তৈরি করে।
তাই এখানে হদিশ রইল রান্নাঘরে মজুদ উপকরণ দিয়েই ঘরোয়া পাঁচটি রেসিপি যা স্বাস্থ্যকর আবার দারুণ টেস্টি।
খিচুড়ি: চাল আর ডাল দিয়ে তৈরি এই উপাদেয় খাবারটি সুষম আহার হিসেবেই পরিগণিত হয়। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবারে ভরপুর খিচুড়িতে পছন্দের সবজিও দেওয়া যায়। আবার চাল-ডালের বদলে সাবু দানার খিচুড়িও বানানো যায়।
আলুকাবলি: বিকেলের জলখাবার হিসেবে আলুকাবলির জুড়ি মেলা ভার। সেদ্ধ আলু পরিমিত স্টার্চ হিসেবে ভালো একটি উপকরণ। এর সঙ্গে সেদ্ধ ছোলা মটর যোগ হয়ে প্রোটিনেও ভরপুর করে তোলে এই পদটিকে।
ঢেঁকি ছাঁটা চাল: সাদা চাল বা রিফাইন্ড চালে পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁচা চাল রান্নায় ব্যবহার করা ভালো। ব্রাউন রাইসের অন্য রেসিপির বদলে সাধারণ ভাবে ভাত রান্না করলেই সবচেয়ে ভালো।
প্রোটিন স্যালাড: রাতে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে ডিনার সারতে বলেন অনেক জিম ট্রেনাররা। সেক্ষেত্রে ভাত বা রুটি খাওয়া চলে না। রাতে তাই প্রোটিন স্যালাড খাওয়া যেতে পারে। উদ্ভিজ প্রোটিন যেমন ছোলা, মটর সেদ্ধ বা সোয়াবিন ও প্রানীজ প্রোটিন একসঙ্গে সবুজ শাকসবজির সঙ্গে নিয়ে স্যালাড বানানো যেতে পারে।
দই চিঁড়ে: ফারমেন্টেড এনজাইম ও প্রোবায়োটিক পেটের স্বাস্থ্য ভালো। তাই পেট ভালো রাখতে দইয়ের ভূমিকা অনেকটাই। তাই পাতে দই থাকা দরকার। শুধু দই না হলেও দইয়ের রেসিপি রাখাই যায়। এর মধ্যে অন্যতম হল দই চিড়ে। ফলাহার না হলেও শুধু দই চিড়ে ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।