নিউজ ডেস্ক: রক্তস্নাত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তোলাপাড় রাজ্য রাজনীতি। সোমবার সকাল থেকে ৬০৮টি বুথে ফের শুরু হয়েছে পুনর্নিবাচন। তারমধ্যেই রাজ্যসভার ৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। তালিকায় পুরাতনী রয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দোলা সেন। নবাগতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের প্রকাশ চিক বরাইক, সাকেত গোখলে এবং সমীরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন শান্তা ছেত্রী এবং সুস্মিতা দেব। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এঁরা দুজনেই উত্তর-পূর্বে ঘাসফুল শিবিরের মুখ। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব। আর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দলনের পর গোর্খাদের হয়ে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন শান্তা ছেত্রী। বলাই বাহুল্য, ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরামে তৃণমূলের ঘাঁটি গড়ার চেষ্টায় এদের দুজনকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যসভায় যাওয়ার সুযোগ এদের কাউকেই দেয়নি ঘাসফুল শিবির। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, উত্তর-পূর্ব রাজ্যে হয়তো এখনই অতটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির।
উত্তর-পূর্বে গুরুত্ব না দিলেও উত্তরবঙ্গে হাল ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের শক্ত ঘাঁটি আলিপুরদুয়ারের ৫টি আসনই বিজেপির দখলে। আবার সেখানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক জন বার্লা। এই পরিস্থিতিতে আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি প্রকাশকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবিরকে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ করছে তৃণমূল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: Rajya Sabha Election: কলকাতায় অনন্ত মহারাজ, মনোনয়নে স্পষ্ট বিজেপির উত্তরবঙ্গ নীতি
২০২৪’এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রার্থী তালিকায় এবার সাকেতকেও রেখেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা আরটিআই কর্মী গোখলে তথ্য অধিকার আইন দিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করেন। তার জন্যে বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হন তিনি। এবার সেই সাকেতকেই সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠাতে চলেছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ২০২১’এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান দিয়ে তৃণমূলের নজরে আসেন ‘বাংলার সংস্কৃতি মঞ্চ’এর সদস্য সমীরুল ইসলাম। এবার রাজ্যসভায় তাঁকেও পাঠাচ্ছে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের কথায়, তিন প্রবীণ ও তিন নবিন প্রার্থী নির্বাচন করে আগামী লোকসভায় বিজেপিকে টক্কর দিতে চাইছে তৃণমূল সুপ্রিমো।