নিউজ ডেস্ক: ভারী থেকে অতি-ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যায় ভাসছে সমগ্র উত্তর-ভারত। এবার বন্যার কবলে রাজধানী দিল্লিও। বিপদসীম থেকে ৩ মিটার উপরে পৌঁছে গিয়েছে যমুনার জল। সেইসঙ্গে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে জলস্তর। ফলে জলের তলায় দিল্লির একাধিক এলাকা। এমনকি, জল পৌঁছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির এলাকাতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মূলত হরিয়ানার হাতনিকুন্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে বেড়ে গিয়েছে যমুনার জলস্তর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে এই জলস্তর ছিল ২০৮.৪৬ মিটার। ফলে ভেসে গিয়েছে নদী সংলগ্ন একাধিক এলাকা। রিং রোডের একাধিক অংশ চলে গিয়েছে জলের তলায়। সেকারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মঞ্জু কা টিলার সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি গেট।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘রাজ্যে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি’র বিরুদ্ধে সোচ্চার মমতা
এদিকে, জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে হাতনিকুন্ডের জল ধীরে ধীরে ছাড়ার আর্জি জানান কেজরিওয়াল। তবে কেন্দ্রের দাবি এখনই তা সম্ভব নয়। বিগত কয়েকদিন ধরে হিমাচল প্রদেশে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জন্যে বাঁধের জল বেড়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত সেই জল ছেড়ে দিতে হবে। তবে কেন্দ্রীয় জলশক্তি দফতরের তরফে জানান হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো থেকে ধীরে ধীরে কমানো হবে হাতনিকুণ্ড বাঁধের জল ছাড়ার পরিমাণ।
অন্যদিকে, বন্যা পরিস্থিতির আঁচ করে আগেই রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি এবং বেসরকারি দফতর বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল। সেইসঙ্গে বন্যাপ্রবণ এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি করেছে আপ সরকার। উদ্ধারকাজের জন্যে ইতিমধ্যেই রাজধানী জুড়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও খবর। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের মঙ্গলবার থেকেই উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরে বন্যা পরিস্থিতির কারণে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০০। নিখোঁজ একাধিক। ভয়াবহ এই পরিস্থিতির জন্য মূলত বিশ্ব উষ্ণায়নকে দায়ি করছে বিশেষজ্ঞ মহল।