নিউজ ডেস্ক: ISRO -এর চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে গোটা বিশ্বে হইচই পড়লেও এবার মঙ্গল নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে লাইমলাইটে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা NASA. প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে মঙ্গলে, নাসার এমন দাবিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন করে আলোচনা আর বিতর্ক। আর এই খবর সামনে আসতেই নতুন করে তৈরি হলো এলিয়ন থিয়োরি।
উল্লেখ্য, মঙ্গল নিয়ে কাজ হচ্ছে প্রায় ১০০ বছর ধরেই। লাল গ্রহ নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই দুনিয়ার, কষে কাজ করে চলেছে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি। মঙ্গল সম্পর্কে আরও গভীরভাবে গবেষণা করতে রোভার পাঠানো হয়েছিল নাসার পক্ষ থেকে। সেই রোভারের পাঠানো তথ্য থেকেই দাবি করা হয়েছে এমন। জানা গেছে, মঙ্গলে দীর্ঘ সময় ধরে মাটি ও ভূমিরূপের প্রকৃতি পরীক্ষা করে মিলেছে জৈব পদার্থের অস্তিত্ব।
এ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রবন্ধ অনুযায়ী, জৈব পদার্থের পাশাপাশি জানা গেছে মঙ্গলের মাটির কার্বন চক্র সম্পর্কেও, যা আরও জোরালো করে তুলেছে প্রাণের অস্তিত্বের দাবি। প্রবন্ধটি জানাচ্ছে, জৈব পদার্থগুলি জলীয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত খনিজপদার্থের মধ্যে পাওয়া গেছে। জলীয় প্রক্রিয়ার অস্তিত্ব থেকেই প্রাণের অস্তিত্ব মেলার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে নাসার বৈজ্ঞানিক-মহলে।
তবে বিশেষজ্ঞদের এক অংশ এখনই তেমন উৎকণ্ঠার কারণ দেখতে পাচ্ছেন না এই আবিষ্কারে। তাঁদের মতে, জৈব পদার্থ মিললেও এখনও এর উৎসের ধরণ চিহ্নিত না হওয়ার কারণে ঠিক কী ধরণের প্রাণ রয়েছে মঙ্গলে, তা জানা যাচ্ছে না স্পষ্টভাবে। ইসরোর চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের আগে নাসার এমন দাবি মহাকাশ-বিজ্ঞানীমহলে যে বেশ একটা সাড়া ফেলে দিয়েছে তা বলা বাহুল্য।