নিউজ ডেস্ক: বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ আবীর
বিশ্বাস। আবীর প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ আনন্দমোহন বিশ্বাসের ছেলে। আবীরের পাত্রী
ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন তথা হাওড়া লোকসভারই তৃণমূলের আরেক সাংসদ প্রসূন
বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা প্রেরণা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় একেবারে
ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে প্রসূনবাবুর হাওড়ার বাড়িতেই বসছে
বিয়ের অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিতদের মধ্যে দলীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট বেশ কয়েকজন
থাকছেন।
মেয়ের বিয়ে বলে কথা।
বৃহস্পতিবার রাতে তার আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতির মধ্যে মাথা তোলার সময় ছিল না প্রসূনবাবুর।
নিজে জামাই পছন্দ করেছেন। কোনও জায়গায় ফাঁকি রাখতে চাননি আজীবন মোহনবাগানি প্রাক্তন জাতীয় স্তরের এই
ফুটবলার। তার মাঝেই বললেন, “আবীরের বাবা প্রখ্যাত
রাজনীতিবিদ। মোহনবাগানের মানুষ। আমিও তাই। আবীরের মা-ও উচ্চ শিক্ষিত। আমাদের
পারিবারিক সম্পর্ক অনেক দিনের। আমি স্ত্রীকে হারিয়েছি বেশ কিছুদিন। এক ছেলে আর এক
মেয়েকে নিয়ে ছিলাম। এর মাঝেই মেয়ের বিয়েটা ঠিক হয়ে গেল। আবীর খুব ভাল ছেলে। আমরা
দুই পরিবারই ভীষণ খুশি”। দুই পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Maharashtra News: মহারাষ্ট্রে ‘পাওয়ার’ কাটের পর বিহার নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের
আবীরের পাত্রী প্রেরণা ন্যাশনাল
ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের স্নাতক। তার পরও চিরকাল ঘরোয়া পরিবেশে মায়ের
সঙ্গে তাঁর বেড়ে ওঠা। আবীরের কথায়, “আমার মা ছিলেন
একেবারে ঘরণী। বাবার ধারণা ছিল দু’জনেই যদি বাইরে চলে যাই, তবে ছেলে কার শিক্ষায় মানুষ হবে? কিন্তু আমার মা
ওকালতি করতে পারতেন, অধ্যাপিকা হতে পারতেন।
কিন্তু হলেন ঘরণী। আমার হবু স্ত্রীও তাই।” পাত্র-পাত্রীর আলাপ সদ্য গত শীতকালীন
অধিবেশনে। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সংসদে গিয়েছিলেন প্রসূনবাবু। সেখানেই আবীরের সঙ্গে
আলাপ প্রেরণার। আবীরের কথায়, “প্রসূন দা আমায়
অত্যন্ত স্নেহ করেন। আমাদের পরিচয় হয়। টুকটাক কথা হত। তার পর প্রসূনদাই আমায়
প্রস্তাবটা দেন। আমিও জানিয়ে দিই রাজি।” খুব অল্প সময়ের মধ্যে কথাবার্তা এগোয়। রথের
দিন প্রথম আবীরের বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে যান প্রসূনবাবু। মাঝে একদিন কথা। শেষে
পাকা কথা হয় উল্টো রথে।
আবীরের সহাস্য সংযোজন,
“আমাদের আসলে অ্যারেঞ্জ আর তার পর লাভ! সবই জগন্নাথ দেবের
কৃপা। তাই এই মাসেই বিয়ে সেরে ফেলছি।” যৌথ রিসেপশন ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতায়। ওইদিনই
হবে রেজিস্ট্রি।