নিউজ ডেস্ক: পুলিশের লাঠিচার্জেই মৃত্যু হয়েছে দলীয় নেতার। বিহারের ঘটনায় পুলিশি হেনস্তার তীব্র বিরোধিতা করে এমনটাই জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতির প্রতিবাদে বিধানসভা অভিযান করে বিজেপি। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করেই পাটনার ডাকবাংলা এলাকায় কার্যত ধুন্ধুমার বেঁধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে। প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এমনকি বিক্ষোভকারীকদের উপর লাঠিচার্জও চালায় পুলিশ। লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন জেহনাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সিং। এরপরই তাঁকে পাটনা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহনকারী একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীকেও গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ।
আরও পড়ুন: DA Case: ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছল মামলা, কবে হতে পারে পরবর্তী শুনানি?
ট্যুইটে পুরো ঘটনাটি জানান বিজেপি সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী। এরপরই বিহার পুলিশ এবং নীতিশ কুমারের সরকারের তীব্র বিরোধিতা করেন নাড্ডা। শান্তিপূর্ণ অভিযানে কেন হামলা চালাল পুলিশ, প্রশ্ন তোলেন তিনি। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর দাবি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই চলছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠন করে নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড। এরপর থেকে দুই দলের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে। গত ৩ জুলাই চাকরির বদলে জমি মামলায় সিবিআই চার্জসিটে নাম ওঠে তেজস্বী যাদবের। তারপর সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপির প্রতিবাদ আরও সোচ্চার হয়ে ওঠে। এদিকে, ২৪’এর লোকসভা নির্বাচনে মহাজোটের জন্যে বিরোধীদের এক ছাদের তলায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নীতিশ কুমার এবং তেজস্বী।