নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাস শেষ হয়নি। থামে নি মৃত্যু মিছিল। থামে নি রাজনৈতিক সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষের বলি নিচুতলার রাজনৈতিক কর্মীরা। যাদের হাতে প্রশাসন তাদের কর্মীরাই খুন হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। কোথাও কি শাসকের হাত থেকে প্রশাসনের রাশ আলগা হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে। তাঁর আগে এক নজরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসের টুকরো ছবি…
ভাঙড়
ভাঙড়ে আরো এক আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল। নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মোসলেম। ৪৫ বছর বয়স। উল্লেখ্য ভোটের আগের দিন তাকে লাঠি উইকেট দিয়ে পেটানো হয়েছিল। তারপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে শেখ মোসলেম তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। ওই এলাকায় তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল। তবে আইএসএফ কর্মীদের ভয় দেখানো, মারধর করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ভোটের আগের দিন রাতে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির আইএসএফের দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভাঙড়ের কাঠালিয়া এলাকার ঘটনা।
ক্যানিং
ক্যানিংয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম নান্টু গাজী। ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪২ নম্বর গাজী পাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি নান্টু গাজীকে ফোন করে তাঁকে রাতে জরুরি দরকার বলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বেধড়ক মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। পাশাপাশি সাহিনা গাজী নামে এক মহিলাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় বিধায়ক পরেশ রাম দাস জানান রাজনৈতিক কারণে নয় পুরোনো মামলায় সাক্ষী দেওয়ার কারণে নান্টু গাজীকে খুন করা হয়েছে।
বাসন্তী
রাতের অন্ধকারের তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলে আরএসপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল কর্মী শামিম সর্দার। তাঁর বাম হাতের বাহুতে গুলি লেগেছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার অন্তর্গত ৪ নম্বর গরাণবোস এলাকায়। শামিম স্থানীয় বাজারের মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন।রাতের অন্ধকারে একাই বাড়িতে ফিরছিলেন।অভিযোগ রাতের অন্ধকারে আচমকা তাঁকে আরএসপি আশ্রিত ১০/১২ জন দুষ্কৃতি ঘিরে ধরে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই তৃণমূল। অন্যদিকে গভীর রাতের অন্ধকারে গুলির আওয়াজ শুনে পড়শিরা বেরিয়ে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মী কে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়।সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।