নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিজেপির পোলিং এজেন্ট কে তুলে নিয়ে মারধর। মার খেয়ে প্রায় অজ্ঞান হওয়ার আগে জল চাওয়ায় তাকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান পা ধুইয়ে ছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই ঘটনায় সরব হওয়া রাজ্যের শাসকদল নিজের বেলায় অবশ্য ওই দাবীকে আশাঢে গল্প বলে দাবী করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মীরা বিজয় মিছিল শেষে বিজেপির পোলিং এজেন্ট বরুণ রুইদাসকে ঘিরে ধরে। তাঁর কাছে ফিস্টের টাকা দাবী করে দুষ্কৃতীরা। টাকা না দিতে পারায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে এসে ব্যাপক মারধর করা হয় অভিযোগ। সে জল চাইলে তাকে গ্লাসে করে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হয়। সেই প্রস্রাব সম্পূর্ণ পান না করায় তাঁর ফের মারা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Jiban Krishna Saha: বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যা উল্লেখ করল সিবিআই
আশঙ্কা অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গরবেতা গ্রামীণ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার গভীর রাতে ওই বিজেপি কর্মীকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাতেই বিজেপি কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছায় রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সমিত দাস সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটের তথা বিধায়ক অজিত মাইতির দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসার নামে আষাঢ়ে গল্প ফাঁদছে বিজেপি। পাড়াগত বা পারিবারিক গন্ডগোল হলেও তৃণমূলের নাম দিয়ে চালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন এলাকায় প্ররোচনা তৈরি করা হচ্ছে বলেও দাবি অজিত মাইতির। শাসক শিবির যাই বলুক না কেন একের পর এক অভিযোগে শাসকদলের অস্বস্তি যে ক্রমে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।