নিউজ ডেস্ক: রাতে ছয় ভোটে জয়ী। সকালে ১০৫ ভোটে হার। পুরুলিয়ার ঝালদা এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১১ নম্বর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী তিজেন্দ্রনাথ মাহাতোর অভিযোগের ভিত্তিতে গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাজকুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে শুক্রবার প্রথমার্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই কংগ্রেস প্রার্থী। ওই দিন দ্বিতীয়ার্ধেই এই মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে ওঠে।
কংগ্রেস প্রার্থীর আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি জানান, “বিচারপতি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার অর্থাৎ বিডিও এবং গণনা কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। গণনার দিন অর্থাৎ ১১ জুলাই রাত ১১টা থেকে অর্থাৎ পরের দিন ১২ জুলাই দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট গণনা কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজ জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২৪ জুলাই।
আরও পড়ুন: Bomb Blast: খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত দুই শিশু
গণনার পরের দিনই পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস এই জেলার সামগ্রিক গণনা প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। ঝালদা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির এই ১১ নম্বর আসন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেছিলেন। তারপরই শুক্রবার প্রথমার্ধে ওই কংগ্রেস প্রার্থী হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। ওই কংগ্রেস প্রার্থী তিজেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, “গণনার দিন রাতে ঘোষণা করে জানানো হয় আমি ছয় ভোটে জয়ী হয়েছি। এরপর হঠাৎ ভোরে আমাকে জানানো হয় ওই আসনে ফের গণনা হবে। কারণ জানতে চাইলে বিডিও এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি । গণনা কক্ষের আধিকারিকরা পুনরায় গণনা করতে না চাইলে বিডিও নিজেই গণনার কাজ করেন। আমরা প্রতিবাদ করে গণনা কেন্দ্র থেকে চলে আসি। পরে সকালে শংসাপত্র নিতে গেলে আমাকে জানানো হয় ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ১০৫ ভোটে আমি হেরে গিয়েছি”।
হাইকোর্ট এই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ তলব করায় ওই কংগ্রেস প্রার্থী জানান, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমার আশা সুবিচার মিলবে”। ঝালদা এক নম্বর ব্লকের বিডিও রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, “আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাঘমুন্ডির প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, “আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি প্রশাসনের এই কারচুপির বিরুদ্ধে আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচিও নেব”।