নিউজ ডেস্ক: অয়ন শীল, কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। খাতায় কলমে ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি দেখানো থাকলেও ওই সম্পত্তির বাজার দর ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
মূলত ডিড ভ্যালুতে ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ কোটি দেখানো হয়েছে। বাজেয়াপ্ত স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে ১২৫ সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যবসায়িক দফতর, মিউচুয়াল ফান্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন পর্যন্ত ১২৬ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদের মধ্যে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা বলে দাবি করা হচ্ছে। ধৃত তিন জনের ব্যাংক একাউন্টে থাকা টাকা, শেয়ারের বিনিয়োগ, জমি ফ্ল্যাট ও ব্যবসায়িক সম্পত্তি সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই জেলে বন্দী রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ শান্তনু বন্দোপাধ্যায় ও অয়নশীল। তদন্ত আরো এগোলে এমন আরো অনেক সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাবে বলে মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: রাতে জয়ী, সকালে হার! গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভির ফুটেজ তলব হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা আরো এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়ের বিরুদ্ধে ১২০ (বি), ১০৯, ২০১, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪২০ এবং দুর্নীতিদমন আইনের দুটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সুব্রতর মাধ্যমেই চাকরি-বিক্রির টাকা তোলা হত যা জীবনকৃষ্ণ সাহার মাধ্যমে হাতবদল হত বলে সিবিআইয়ের দাবি। উল্লেখযোগ্যভাবে এই মামলায় আগেই ২০১ ধারায় মামলা রুজু করেছে সিবিআই। যার অর্থ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, জীবনকৃষ্ণ তাঁর দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন এবং বহু তথ্য মুছে ফেলেন। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় মামলা করা হয়েছে। চার্জশিটে কারণ উল্লেখ করে জানিয়েছে সিবিআই।