নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ পদ খারিজ করার আবেদন জানালেন বিষ্ণুপুরের কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। লোকসভার স্পিকার ওম বিলাকে শনিবার চিঠি লিখে তিনি এই আবেদন করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, “ শপথ নেওয়ার সময় একজন সাংসদ দেশের সংবিধানের শপথ নেন। সংবিধানকে শিরোধার্য করেন। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার দেশের বিচারব্যবস্থাকে যেভাবে আক্রমণ করেছেন তা সংসদীয় রীতি-নীতি এবং সংবিধানের পরিপন্থী। আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক”।
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছে তা সংসদের বাইরে বলেছেন। সংসদের বাইরের মন্তব্যের জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ নিজে থেকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আক্রমণ করে বসেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতাকে রক্ষাকবচ দেওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে সরাসরি বিচারপতি রাজশেখর মান্থাকে আক্রমণ করে বসেন। তিনি বলেন একজন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সমাজবিরোধীদের রক্ষাকবচ দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে তিনি কোন অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না এফআইআর করা যাবে না।
আরও পড়ুন: Jiban Krishna Saha: বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যা উল্লেখ করল সিবিআই
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের নিন্দা করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও বর্ষীয়ান আইনজীবীরা। অশোক গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “একজন সাংসদ যদি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে এইরকম মন্তব্য করলে কি আর বলা যাবে। বিষয়টিকে আদালত অবমাননাকর হিসেবে নিচ্ছে কিনা। সেটা তাদের ঠিক করতে হবে”। আইনজীবীদের একাংশের মত এক্ষেত্রে আদালত ফৌজদারি মামলা করতে পারে। হাইকোর্টের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় এই ধরনের মামলা শোনেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেউ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মামলা নেওয়া যেতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবেও মামলা করতে পারে।