নিউজ ডেস্ক: নজরে ২০২৪’এর লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধিতার তাগিদে বেঙ্গালুরুতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বিরোধী ‘মহাজোটের’ হাই-ভোল্টেজ বৈঠক। পাটনায় ২৩ জুনের বৈঠকে উপস্থিত ছিল ১৫টি অ-বিজেপি দল। তবে মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকবে ২৪টি দল।
জানা গিয়েছে, সোমবারই বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন নীতিশ কুমার, শরদ পাওয়ার, এমকে স্ট্যালিন এবং হেমন্ত সোরেন। তবে এই বৈঠকের থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও, নবীন পট্টনায়ক এবং জগন মোহন রেড্ডি।
অন্যদিকে, অর্ডিন্যান্স নিয়ে দীর্ঘ মতানৈক্যের পর অবশেষে মহাজোটের বৈঠকে যোগ দেবেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লোকসভায় বিজেপি বিরোধিতায় আপের সহযোগীতা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা অবশেষে বুঝতে পেরেছেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। তাই মঙ্গলবারের বৈঠক হওয়ার আগে এই বিষয়ে দলীয় বৈঠক সেড়ে ফেলেছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বৈঠকে আপ’কে সমর্থনের ক্ষেত্রে মিলেছে অধিক ভোট। আর সেই কথা জানার পরই মহাজোটে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেজরিওয়াল।
এদিকে, সোমবার বিকেলে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সোমবারের নৈশভোজে থাকবেন না মমতা। তবে এই বৈঠকের সুবাদে দু’বছর পর কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হবেন তিনি। অবশ্য বাংলায় সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার আঁচ এই সম্পর্কে কতটা পড়বে, তা নিয়ে সন্দিহানে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, বিজেপি বিরোধিদার ক্ষেত্রে কোনও রকম ফাঁক রাখবেন না এই দুই পোড়খাওয়া রাজনীতিকের কেউই।
উল্লেখ্য, পাটনার বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল জোট গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে। এবারের বৈঠকে আলোচনা হবে আসন বন্টন, নীতি নির্ধারণ নিয়ে। এককথায় নির্বাচনী ময়দানে জোটের রোডম্যাপ নিয়েই আলোচনা হবে মঙ্গলবারের বৈঠকে।
পাটনায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল পরবর্তী বৈঠক হবে সিমলায়। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বেঙ্গালুরুতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এই বৈঠক। কিছুদিন আগে বিজেপিকে হারিয়ে কর্ণাটকের ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই বৈঠক কতটা ফলপ্রসু হবে, প্রশ্ন উঠছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, তা নিয়ে এখনও কিছু ঠিক করতে পারেনি মহাজোট। অন্যদিকে, বিজেপি বিরোধিতায় মহাজোট ছাড়া যে আর কোনও উপায় নেই তাও বুঝতে পেরেছেন সোনীয়া। তাই একের পর এক বৈঠক হলেও অবশেষে ফল আদেও ভালো হবে কিনা! তা নিয়ে সন্দিহানে রাজনৈতিক মহল।