নিউজ ডেস্ক: পাঁচ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। নোভাক জকোভিচকে হারানোর পর অল ইংল্যান্ড ক্লাবে রীতিমতো গোলটেবল বৈঠক।
শেষ কবে অল ইংল্যান্ড ক্লাব উইম্বলডনের ইতিহাসে এ রকম রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখেছে। যাকে বলা হচ্ছে, ‘মহাকাব্যিক ম্যাচ’ শুধু ফাইনাল ম্যাচ বলেই নয়, কে জিতবে, তা বোঝা যাচ্ছিল না শেষ সেকেন্ডেও। ফলে শতাব্দী প্রাচীন এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন স্পেনীয় টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ লিখলেন নয়া ইতিহাস। থমকে দাঁড় করিয়ে দিলেন নোভাক জকোভিচের বিজয়রথকে। কার্লোস অলকারাজ জিতলেন ১-৬,৭-৬,৬-১,৩-৬,৬-৪। কারণ উইম্বলডনের ইতিহাসে জকোভিচ টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। সেই ২০১৭ সাল থেকে। ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে সকলেই ধরে নিয়েছিলেন জিতবেন জোকারই। কিন্তু একটু একটু করে ম্যাচের রং বদলে গেল তৃতীয় সেটের পরই। আলকারাজ জিতে যান ৬-৪।
ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে স্প্যানিশ টেনিস তারকার মন্তব্য, ‘স্বপ্ন সত্য হল। আরও অনেক পথ জেতে হবে।’ মাত্র কুড়ি বছর বয়সে গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পরে স্প্যানিশ তারকাকে নিয়ে আলোচনা শুরু টেনিস দুনিয়াতে।
২০০৮ সালে যখন প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন নোভাক, তখন আলকারাজের বয়স ছিল মাত্র পাঁচ। তারুণ্যের কাছে অভিজ্ঞতার এই হারকে মেনে নিয়েছে টেনিস বিশ্ব। যদি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘প্রতিপক্ষকে হাল্কাভাবে নেওয়ার মাসুল গুণতে হল নোভাককে।’ কিন্তু সত্যিই কী তাই।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কুড়ি বছর বয়সী টেনিস তারকার মন্তব্য, ‘আমার কাছে নোভাক এখনও সেরা। আর এই সেরার বিরুদ্ধে বারবার খেলতে চাই। হারাতেও চাই। তাহলে তো একদিন আমি বিশ্বের এক নম্বর হয়ে যাব।’ হারিয়ে দেওয়ার পরেও নোভাককে নিয়ে শ্রদ্ধা ঝরে পড়েছে তাঁর গলায়। কিন্তু উল্টোদিকে নোভাকের মন্তব্যে রীতিমতো আলোচনা টেনিস বিশ্বে। তাঁর কথায়, ‘সবসময় জেতা যায় না। খেলা একইভাবে সবসময় হয় না। এটা হতেই পারে। তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। আজকের দুনিয়াতে আন্ডারডগ বলে কিছু নেই। যে কেউ জিততে পারে। গুণতে হতে পারে ছোট্ট একটা ভুলের মাসুল ।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘কে ক’টা গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছে, ম্যাচে সেটা বড় কথা নয়। অনেক সময়তে হার মানতে হয় অভিজ্ঞকেও।’
নোভাকের গলায় ক্ষোভ ধরা পড়েছে টানা পাঁচবারের উইম্বলডন জিততে না পারার আক্ষেপ। অল্পের জন্য তা হাতছাড়া হওয়ায়। কিন্তু তা বলে প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব না দিয়ে তিনি ছোট করেছেন নিজেকেই।