নিউজ ডেস্ক: কার দখলে যাবে দেশের মসনদ! ২০২৪’এ ‘লড়াই’এর মাধ্যমে জানা যাবে তার উত্তর। তবে নির্বাচনী ময়দানের সেই লড়াইয়ের আগেই যেন একে অপরকে শক্তি প্রদর্শনে নেমে পড়েছে এনডিএ-ইউপিএ। একদিকে সোমবার থেকে ২৪ জন শরিক নিয়ে বেঙ্গালুরুতে শুরু হচ্ছে বিরোধী মহাজোটের বৈঠক। চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। অন্যদিকে, একই দিনে ৩০টি শরিকি দল নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকার। ২০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে শরিকদের সঙ্গে ২৪’এর রূপরেখা তৈরি করে নিতে চাইছে বিজেপি।
নয়া দিল্লির অশোক হোটেলে আয়োজিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুরনো ২৪টি শরিকি দলের পাশাপাশি কিছু নতুন দলকেও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি। যদিও প্রতিটি দলের প্রতিনিধি যে সংসদে রয়েছে, এমনটা নয়। আসলে আঞ্চলিক দলগুলির শক্তি যে লোকসভায় সমস্ত সমীকরণ বদলে দিতে পারে, তা অজানা নয় বিজেপির। আর তাই শুধুমাত্র বিহার থেকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে নতুন চারটি দলকে। তালিকায় রয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসোয়ান, হিন্দুস্তানি আওয়ান মোর্চার জিতান রাম মাঝিঁ, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির উপেন্দ্র সিং কুশওয়াহা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টির মুকেশ সাহানী।
অন্যদিকে, রবিবারই সপা’এর জোট ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছে ওমপ্রকাশ রাজভরের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করে বিজেপি’র খাতায় নাম লিখিয়েছেন মোউ জেলার ঘোসির সপা’র বিধায়ক দারা সিং। তবে সমস্ত জল্পনায় খানিক ইতি টেনে দিয়েছেন এন চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি এবং শিরমোনি আকালি দল। সূত্রের খবর, অন্ধ্রপ্রদেশে পবন কল্যানের জনসেনা পার্টির সঙ্গে জোট বাধতে চলেছে বিজেপি। সেইসঙ্গে পাঞ্জাবে একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি হঠাৎ করে এই বৈঠকের খুব একটা প্রয়োজনীয়তা ছিল না এনডিএ সরকারের। তবে বিজেপি শিবিরের মতে বিরোধীদের জোটবদ্ধতার কারণে জনগণের আস্থা হারিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দিল্লির এই বৈঠক আসলে বিজেপির রণকৌশল।