নিউজ ডেস্ক: কপালে তিলক কেটে স্কুলে যাওয়ায় ছাত্রকে পেটালেন প্রধানশিক্ষক! ঘটনা রাজস্থানের ভিলওয়াড়া। সূত্রের খবর, ভিলওয়াড়ার একটি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে পড়ে কিষণ মালী নামের ওই ছাত্র। শুধুমাত্র গায়ে হাত তোলা নয়, পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রধান শিক্ষকের ঘরের বাইরেও দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তাকে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে প্রতিবাদে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিদ্যার্থী পরিষদ।
ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে কিষণের বাবা জানান, তাঁর ছেলে কোনওরকম অন্যায় করে নি। একজন সংস্কারী হিন্দু হিসেবে তাঁর ছেলে শুধুমাত্র কপালে তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল। তাকে শাস্তি দিয়েই ছেড়ে দেন নি প্রধান শিক্ষক, সেই সঙ্গে ডেকে পাঠান তার বাবাকেও। কিন্তু কিষণের বাবাও প্রতিবাদ করে সাফ জানিয়ে দেন তাঁর ছেলে কোনও ভুল করেনি। ভবিষ্যতেও সে তিলক কেটেই স্কুলে আসবে। এরপরই ছেলেকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে চাপ দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে রাজস্থানের হিন্দু সংগঠনগুলি। শেষে চাপের মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়ে নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে কিষণও। ছাত্রটি বলে,’ আমাদের স্কুলে তিলক কেউ লাগিয়ে আসে না। আমি তিলক লাগিয়ে গিয়েছিলাম। আমার দেখাদেখি আমার কয়েকজন বন্ধুও তিলক কেটে গিয়েছিল। আমাদের এক ম্যাডাম আমাদের কারণ জিজ্ঞাসা করলে আমরা জানাই, আমরা হিন্দু। পরেরদিন আমাদের ফাদার সকলের থেকে জানতে চান কে তিলক লাগাতে বলে। সকলে আমার নাম নেয়। তখন ফাদার আমাকে থাপ্পড় মারেন পরপর। এরপরই আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় দীর্ঘক্ষণ।’ শাস্তি পেলেও তিলক পরে স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় কিষণ। তার বক্তব্য, পড়াশোনা ছাড়তে পারব, কিন্তু তিলক পরা নয়।