নিউজ ডেস্ক: নীল-সাদার জমানায় নীল বাতি নিয়ে বিপাকে পড়লেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। শহরের রাস্তায় সোমবার সকালে পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি হলেন যশ-নুসরত। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় নীল বাতি লাগানো একটি গাড়ি চড়ে শুটিং ফ্লোরে নামলেন দুজনে, নুসরতের হাতে একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং করা একতাড়া কাগজ। বোঝাই যায় যে সেটা তার নতুন ছবির স্ক্রিপ্ট। গাড়ি থেকে নেমে দুজনেই নিজেদের ভ্যানিটি ভ্যানে উঠে পড়েন আর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নুসরতের বিরুদ্ধে উঠেছে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে সাংসদ হিসেবে সরকারি কাজে ব্যবহারযোগ্য গাড়ি নিয়ে তিনি কীভাবে শুটিং ফ্লোরে আসতে পারেন এবং তা নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিওতে স্পষ্টই দেখা যায়, নীল বাতির গাড়ি থেকে নামছেন যশ-নুসরত। নুসরতের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার আদপেই আইনবিরুদ্ধ। রাস্তাঘাটে বিশেষ সুবিধে পায় এই গাড়ি যা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার একেবারেই কাম্য নয়। যে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই লিখেছেন যে ২০১৪ সালের ১৯ জুন রাজ্যের পরিবহন দফতরের মাধ্যমে জারি হওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টই বলা ছিল যে চার ধরনের বাতিযুক্ত গাড়ি ঠিক কারা কারা ব্যবহার করতে পারবেন।
সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোনোভাবেই শুটিং ফ্লোরে আসার জন্য নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার অরা উচিত নয়, একান্ত যদি না গাড়িটি শুটিংয়ের স্বার্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। আবার এক তরফের দাবি গাড়িটি নাকি যশের। সেক্ষেত্রে আরো বড় প্রশ্ন ওঠে এ একজন অভিনেতা হয়ে তিনি কীভাবে নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Boomerang: দেবকে ছেড়ে জিতের পাশে, নতুন পথচলা ‘বুমেরাং’ হয়ে আসবে না তো?
সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে আদপে সেই গাড়িটি যশের নামেই রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। ২০১৮ সালে এই গাড়ির রেজিস্ট্রি হয়েছিল বলে জানা যায়। রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল দেবাশিস দাশগুপ্তের নামে যা আসলে যশের আসল নাম। ফলে নীল বাতির গাড়ি নিয়ে বিপাকে এখন যশ-নুসরত, যদিও তাদের কেউই এই ব্যাপারে মুখ খোলেননি।