নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ভোট সন্ত্রাসের পর এখনও একের পর এক বলি হয়ে চলেছে বিরোধীরা। থামার নাম নেই ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজ্যের বাম-কংগ্রেস সাধারণ কর্মীরাও। এমন অবস্থায় ফের রাজ্য বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াল তৃণমূলের সঙ্গে তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের ডিনার পার্টি। ২৪ লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে একত্রিত হচ্ছে বিরোধী দলগুলি। সেই মহাজোটে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাম-কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্য সেটিং তত্ত্ব নিয়ে একযোগে তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে চলেছে বিজেপি।
আর তৃণমূলের সঙ্গে এই মাখামাখিতে অস্বস্তিতে বাম-কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বও। কদিন আগেই পাটনা বৈঠকের কাঁটায় বিদ্ধ হতে হয়েছিল অধীর চৌধুরী- সুজন চক্রবর্তীদের। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বেঙ্গালুরুর পার্টিতে একসঙ্গে ভোজে অংশ নিতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরিকে। আর এই নিয়ে প্রকাশ্যেই ফের দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল বাম-কংগ্রেসের একাধিক রাজ্য-নেতাকে। এবারের পঞ্চায়েতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রত হয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীবৃন্দ। এই কারণে এই দোস্তির বিরোধিতা সবচেয়ে বেশি দেখা কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে।
রাজ্যের কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে সরাসরি শীর্ষনেতৃত্বের বিরোধিতা না করে কিছুটা ডিফেন্সিভ বক্তব্য রেখেছেন তিনি। তার বক্তব্য,’ বেঙ্গালুরুতে যে বাংলার সন্ত্রাস নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাহুল গান্ধী এবং সীতারাম ইয়েচুরি কোনও প্রশ্ন করবেন না তা কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়? আমাদের যথেষ্ট ভরসা আছে, এই প্রশ্ন তাঁরা অবশ্যই করবেন।’ তবে নিজের ক্ষোভ পুরোপুরি চেপে রাখতে পারেননি কৌস্তভ। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেন,’পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকর্মীদের যে আবেগ বা মানসিকতা, তাতে কোনওভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে পথ চলাকে মেনে নেবেন না তাঁরা।’ কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ড্যামেজ কন্ট্রোলে যাই বলুন না কেন, তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস-বামের দোস্তি যে ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ পার্টি-কর্মীরা, তা একপ্রকার স্পষ্ট।