নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে বৃহৎ ঐক্য সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে দেদার হিংসা নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পোর্ট ব্লেয়ারে বীর সাভারকর বিমানবন্দরের শিলান্যাস করার সময়ই উদ্বোধনী বক্তৃতায় এদিন বিরোধীদের নীরব থাকা নিয়ে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ জুলাই এই ঐক্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা সমস্ত বিরোধী দলগুলির, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয়দিন আজ। আর সেই সম্মেলন চলার পাশাপাশি পোর্ট ব্লেয়ারে বীর সাভারকরর বিমানবন্দরের শিলান্যাস করলেন মোদী। উদ্বোধনী বক্তৃতায় কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন দেশের বিরোধী দলগুলির নৈতিক অবক্ষয়কে।
ভ্রষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্যে, দেশের বিরোধীদের কাছে পরিবারই প্রথম প্রাধান্য, দেশের উন্নতি নয়। দুর্নীতির চরমে গিয়েছে দেশের বেশ কিছু রাজ্য। দুর্নীতির কথায় উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গও। মোদী বলেন, ‘পুরো দেশ দেখেছে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের সময় কতটা হিংসা হয়েছে, বেলাগাম হিংসা, দেদার খুনোখুনি। কিন্তু তারপরেও বাংলায় বিরোধী দলগুলি চুপ। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট সব বিরোধী দলগুলির মুখ্য কর্মকর্তারা নিজেদের পিঠ বাঁচাতেই বেশি ব্যস্ত। কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের নেতারা তো নিজেদের কর্মকর্তাদেরই মরার জন্য ঠেলে দিয়েছেন। তাছাড়া স্পষ্টই বোঝা যায়, বাংলার সরকারকে তীক্ষ্ণ বিদ্রুপ করে মোদী বলেন, ‘দেশের কোনো এজেন্সি যখন তাদের নিয়ে তদন্ত করতে শুরু করে তখনই শুরু হয়ে যায় সেই দলের লোকদের বাঁধা বুলি, কিছুই হয়নি, সব চক্রান্ত! আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে!’
আরও পড়ুন: পাটনার পর বেঙ্গালুরুর ডিনার পার্টিতে মমতা-রাহুল-ইয়েচুরি, অস্বস্তিতে রাজ্যের বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব
ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলগুলির নেতাদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি তাদের থেকে সতর্ক থাকার কথা বলেন দেশের মানুষকে। দেশের প্রগতি যেন সেই বিরোধীদের বিশ্বাসঘাতকতায় কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, এই বার্তাই দিতে চাইলেন নরেন্দ্র মোদী।