নিউজ ডেস্ক: বিয়ের পর বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময় কাঁদতে দেখা যায় মহিলাদের। আমাদের দেশে এ যেন এক সংস্কার! কিন্তু পৃথিবীতে এমন দেশও রয়েছে, যেখানে বিয়ের পর কান্না আসুক আর না আসুক, বিয়ের এক মাস আগে থেকেই শুরু করে দিতে হবে কান্নাকাটি! চমকে উঠলেন? আজ্ঞে, একদম ঠিক শুনেছেন! সজ্ঞানেই এই তথ্য পরিবেশন করছেন প্রতিবেদক।
দেশটির নাম হল চিন। চিনের তুইজা গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে বহু প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে এই পরম্পরা। প্রথমে বর আর কনেকে মুরগির পালক ছিঁড়ে কলিজা বের করে দেখাতে হয়। সেই পরীক্ষায় পাশ করার পড় ঠিক হয় বিয়ের তারিখ। এরপরই শুরু আসল কাহিনী। বিয়ের ১ মাস আগের থেকে সামাজিক রীতি পালন করার জন্য প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে কাঁদতে হয় তাদের। বিয়ে যত এগিয়ে আসে, ততই বাড়তে থাকে কান্না। শুধু কনেই কাঁদে এমন না। বিয়ের ২০ দিন আগে মেয়ের কান্নায় যোগ দেন মা, আর তার ১০ দিন বাদে যোগ দেয় মেয়ের ঠাকুমা- দিদাও। আর বিয়ের দিনকয় আগে কান্নার আসরে যোগ দেয় পরিবারের সকলেই।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই কান্না তাদের কাছে কষ্টের কান্না নয়, বরং এক আবেগতারিত ভালোবাসা থেকেই তৈরি হয় এটা। আর সাধারণ কান্নার মতোও শুনতে লাগে না এই কান্না। আসলে তাঁরা একরকম সুরে এই কান্না কাঁদেন। আর এই সুরের জন্যই অন্যদেশের মানুষজন সহজে তাদের এই কান্না-সংস্কৃতিকে গান ভেবে ভুল করতেই পারেন।