নিউজ ডেস্ক: মহেন্দ্র সিং ধোনির বাইকপ্রীতি সকলের জানা। শহর কলকাতা ম্যাচ খেলতে এলেই লালবাজার ছুটতেন বিভিন্ন বাইক দেখার জন্য। ভিন্টেজ বাইক হোক বা আধুনিক যুগের স্পোর্টস বাইক, ধোনির গ্যারেজে সবকিছুই রয়েছে। তাঁর বাইকের গ্যারেজ দেখলে শো রুম ভেবে অনেকে মনে করতে পারেন। অতীতে একাধিকবার ধোনির বাইকের সংগ্রহ দেখে অবাক হয়েছেন সকলে। সময় যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে বাইকের সংখ্যা। যে ধোনির সঙ্গে দেখা করতে যান না কেন তিনি ধোনির বাইকের ঘরে একবার ঢুঁ মারেন। তবে বাইকের প্রতি এত ভালোবাসা কেন? তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ধোনি।
সম্প্রতি ধোনির রাঁচির বাড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কোচ ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। সেখানে গিয়ে তিনি ধোনির বাইকের কালেকশন দেখতে যান। সেখানে গিয়ে ধোনির গ্যারেজে দাঁড়িয়ে তিনি বাইক ও গাড়ি দেখতে দেখতে অবাক হয়ে যান। নিজে টুইট করে তিনি ধোনির সেই বাইকের কালেকশন জনসমক্ষে আনেন। এরপর তাঁকে পুরো বিষয়টা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘একজন মানুষের মধ্যে প্যাশন নিয়ে এতটা পাগলামি আমি প্রথম দেখলাম। কী সংগ্রহ এবং ধোনি কী দারুণ মানুষ। এটা তো শুধু একটা নমুনা ওর রাঁচির বাড়িটা। এই লোকটা এবং তাঁর প্যাশন সবকিছুকে পিছনে ফেলে দেবে।’
আরও পড়ুন: Igor Stimac: স্টিম্যাচের চিঠি নিয়ে তোলপাড় রাজধানী
এরপর তিনি বলেন, ‘এটা অসম্ভব। এই জায়গাটাই দারুণ। কেউ এই জিনিসগুলো নিয়ে পাগল না হলে এটা করতে পারে না। এটা বাইকের শোরুম হতে পারে।’ তবে কেন ধোনি এত বাইকের সংগ্রহ করেছেন? তা নিয়ে তাঁর স্ত্রী সাক্ষী তাঁকে প্রশ্ন করেন। জবাবে মাহি বলেন, ‘তুমি তো সব নিয়ে নিয়েছ, তাই আমার নিজের জন্য কিছু দরকার ছিল। এটাই সেটা যেটাতে তুমি অনুমতি দিয়েছ। এই একটাই জিনিসকে আমি ভালোবাসি। তাও তুমি এটা এখানে চাওনি। ব্য়াডমিন্টন কোর্টের পরে চেয়েছ। আমি জোর করে এটাকে ব্যাডমিন্টন কোর্টের আগে এনেছি।’
তবে শুধু এই প্রথমবার নয়, এরআগেও ধোনি তাঁর বাইক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে ধোনিকে তাঁর বাইক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ৫০-টিরও বেশি বাইক রয়েছে। আগে আমার বোন, মা আর এখন আমার স্ত্রী এগুলোকে পছন্দ করে না। খালি জিজ্ঞাসা করে, আমি কেন করি এগুলো? আমার প্যাশনের গুরুত্বেন দাম পাই না। যদিও বাইকগুলো কোনও অভিযোগ করে না। ওদের ভালো করে রাখতে নেই। তেল না দিলেও সমস্যা নেই। যখন দরকার তখন তেল ভরে বাকি জিনিসগুলো দেখলেই হয়ে গেল।’ রাঁচিতে থাকলে তিনি যে বাইক ক্রমাগত বাইক চড়েন তা নয়। মাঝে-সাঝে রাস্তায় তাঁকে দেখা যায়। বাইক রেস নিয়ে মাততে দেখা যায়নি। পেশাদার রেসার তিনি নন। কিন্তু তারপরে তাঁর সংগ্রহে থাকা বাইকে দেখলে চোখ কপালে উঠতে পারে।