নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আগুন নেভেনি। তারই মাঝে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল রওনা দিল মণিপুরের উদ্দেশ্যে। দলে রয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সুস্মিতা দেব, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের এই দলের আগমন ঘিরে চাপা অশান্তির আবহের আশঙ্কা করছে মণিপুর প্রশাসনের একাংশ।
মণিপুরে রাজনৈতিক হিংসার কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে হয়েছে অশান্তির পরিবেশ। মূলত পাহাড় ও সমতল নিবাসী দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের আগুন ধীরে ধীরে নিভতে শুরু করেছে। তৃণমূলের এই পরতিনিধিদল পরস্থিতির পর্যালোচনা করবে বলে ক্যামেরার সামনে জানিয়েছে। তবে বিজেপির আশংকা রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরার তাদের চেষ্টা করতে পারে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সেক্ষেত্রে অশান্তির আগুন নতুন করে লাগতে পারে এই আশংকা অমুলক নয়।
আরও পড়ুন: Re-poll in West Bengal: ফের নির্বাচন গোটা জেলায়! তোলপাড় বাংলা
প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র সুস্মিতা দেব বলেন, “মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে গোটা দেশ অবগত। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। মমতা নিজে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু গৃহমন্ত্রক থেকে উত্তর আসেনি। আমরা প্রত্যেক গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলব। বিভিন্ন এনজিও এবং পিস কমিটির লোকজনের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এটা একটা হিউম্যান ক্রাইসিস। আমরা উত্তেজনা চাইছি না। আমরা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলব। আমরা হেলিকপ্টার সার্ভিস চেয়েও পাইনি। তবে রাজ্য সরকার সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। মণিপুরে যা পরিস্থিতি আমরা ছয় সাত বার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ইমেইল করেছি। সদুত্তর সেভাবে পাইনি। উত্তর প্রদেশে যে হয়েছিল সেটা আশা করি এবার হবে না”।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হোক। যাতে সেখানকার পরিবেশ যাতে শান্ত করা যায়। গৃহমন্ত্রী তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের অভিযোগ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কোন হস্তক্ষেপ করা হয়নি। বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাংসদদের পাঁচ সদস্যের দল মণিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, এবং একটি লিখিত রিপোর্ট রিপোর্ট তৈরি করে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে তা তোলা হবে।