নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের শিরোনামে সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি। অন্ধ্রপ্রদেশের এই ব্যাডমিন্টন তারকার সাফল্য কম নেই। ইন্দোনেশিয়া ওপেনে তিনি নাম তুললেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। কোরিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে পিভি সিন্ধুর লজ্জার হারের পরে সাত্ত্বিকসাইরাজের রেকর্ড নিয়ে আলোড়ন বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে।
ব্যাডমিন্টনের ইতিহাসে দ্রুততম স্ম্যাশটি করে এই নজির গড়লেন তিনি। বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে তাঁকে নিয়ে আলোচনা সবচেয়ে বেশি। তাঁর স্ম্যাশের যে গতিবেগ ছিল তা শুনলে বা তা দেখলে আপনার চোখও কপালে উঠতে বাধ্য। ৫৬৫ কিঃমিঃ/ঘন্টা বেগে তিনি একটি স্ম্যাশ করে গড়ে ফেললেন এই নয়া নজির! অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই বাস্তবে ঘটেছে। এমন অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Gouramangi Singh: সুনীল অথবা ভাইচুং নন, দেশের ধনী ফুটবলার গৌরমাঙ্গি
চিরাগ শেট্টিকে সঙ্গী করে কয়েকদিন আগেই ইন্দোনেশিয়া ওপেন সুপার ১০০০ জিতে নয়া নজির গড়েছেন রানকিরেড্ডি। আর এই নয়া নজির গড়ে তিনি ভেঙে দিয়েছেন এক দশক আগেকার পুরনো এক নজিরকে। এর আগে এই রেকর্ডটি গড়া হয়েছিল ২০১৩ সালের মে মাসে। নজির গড়েছিলেন মালয়েশিয়ার ট্যান-বুন-হিয়ঙ্গ। তাঁর স্ম্যাশের গতিবেগ ছিল ৪৯৩ কিঃমিঃ/ঘন্টা অর্থাৎ ৩০৬.৩৪ মাইল/ঘণ্টা। সেই নজিরটি ভেঙে দিয়েছেন সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি। তাঁর এই নজির কতটা অনন্য তা একটা ছোট উদাহরণ দিয়ে ভালোভাবে বোঝানো যেতে পারে। ফর্মুলা-১ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৩৭২.৬ কিঃমিঃ/ঘণ্টা। সেই গতিবেগকেও অনায়াসে ছাপিয়ে গিয়েছেন সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি।
মহিলাদের বিভাগে এই নজির গড়েছেন মালয়েশিয়ার ট্যান পিয়ারলি। তাঁর স্ম্যাশের গতিবেগ ছিল ৪৩৮ কিঃমিঃ/ঘণ্টা। অর্থাৎ ২৭২ মাইল/ঘণ্টা। জাপানের ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ইয়োনেক্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইয়োনেক্স গর্বের সঙ্গে এটা জানাচ্ছে যে ইয়োনেক্স ব্যাডমিন্টন অ্যাথলিট সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি (ভারত) এবং ট্যান পিয়ারলি (মালয়েশিয়া) নয়া এক গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গঠন করেছেন। ব্যাডমিন্টন ইতিহাসে যথাক্রমে পুরুষ এবং মহিলা বিভাগে দ্রুততম ব্যাডমিন্টন ‘হিট’ মারার নজির গড়েছেন তারা। প্রথমবার এই নজির গড়া হয়েছিল ২০১৩ সালের মে মাসে। ফলে রানকিরেড্ডি এক দশক পুরনো একটি নজির ভেঙে দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল এই নজির গড়া হয়েছে। কোর্টে থাকা স্পিড মাপার যন্ত্র দেখার পরেই এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে গিনেস বুক কর্তূপক্ষ।