নিউজ ডেস্ক: গণনা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক ঢুকে হুমকি দিয়ে জয়ী প্রার্থীর নাম বদল করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন সিপিএমের প্রার্থী। এই মামলায় কমিশনের রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অন্যদিকে হেনস্থার অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। অভিযোগ নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের পুরনো মামলায় ডেকে হেনস্থা করে সেখানে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন আটকে দিচ্ছে পুলিশ।
অভিযোগ তৃনমূলের বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে। গণনার দিন সিপিএমের প্রার্থী অর্পিতা বনিক সর্দারকে জয়ী ঘোষণার পর ওই কেন্দ্রে যান অভিযুক্ত বিধায়ক। গননা কেন্দ্রে দুষ্কৃতীদের নিয়ে যান। তারপর এক ভোটে পরাজিত হন সিপিএমের প্রার্থী। গণনার দিন কিভাবে গণনা কেন্দ্রে বিধায়ক এত লোক নিয়ে প্রবেশ করল, প্রশ্ন মামলাকারীর। কমিশন কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানাতে হবে আদালতকে।
আরও পড়ুন: Calcutta Highcourt: উলটপুরাণ! অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল প্রার্থী
অন্যদিকে হেনস্থার অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। অভিযোগ, নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের পুরনো মামলায় ডেকে হেনস্থা করে সেখানে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন আটকে দিচ্ছে পুলিশ। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো এর মধ্যে এক জনসভায় হুশিয়ারি দেন, নন্দীগ্রামে জেতা এইসব প্রার্থীদের জন্য এলাকায় অশান্তি হচ্ছে। অভিযোগ, তারপর থেকে পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে ওইসব জয়ী প্রার্থীদের হেনস্থা করছে। ফলে এটা বোর্ড গঠনের পথে বাধা হয়ে যাচ্ছে”। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।