নিউজ ডেস্ক: ভারতের কাছে পাখির চোখ এখন চাঁদ। গোটা ভারত এখন চেয়ে রয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর গতিপথের দিকে। ১ মাসের মধ্যে অবতরণের কথা ল্যান্ডারের। সফট ল্যান্ডিং এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ISRO-এর কাছে। কারণ ল্যান্ডিং নিয়েসামান্য ত্রুটিগত কারণ থাকায় শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযানের ২য় ভার্সন। তবে এবার যদিও সেই সমস্ত ত্রুটি শুধরে নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইসরোর পক্ষ থেকে। কিন্তু যে কোনও স্পেসশিপের সাফল্যের জন্য সফট ল্যান্ডিং যে খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই জানালেন NASA-র বাঙালি মহাকাশ-গবেষক অমিতাভ ঘোষ।
এ প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,’ চাঁদ হোক কি অন্য যে কোনও গ্রহ, সফট ল্যান্ডিংয়ের মিনিট খানেক সময় মহাকাশ-বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত ভয়ানক ব্যাপার। আর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অবতরণের জন্য উপযুক্ত মাটি শনাক্তকরণ এবং অবতরণের গতি নির্ধারণ।’ এ প্রসঙ্গে Apollo-11 এর অবতরণের কথা মনে করিয়ে বৈজ্ঞানিক ঘোষ জানান, অবতরণের সময় Apollo-11 এর গতি সেকেন্ড প্রতি প্রায় ২.৫ ফুটে নেমে গিয়েছিল। তাই চন্দ্রযান-৩ অবতরণের সময় মহাকাশযানের গতি নির্ধারিত বেগের চেয়ে কম হতে হবে। যদি বেগ ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়, তবে এটি ল্যান্ডারে থাকা ইলেকট্রনিক্সস পার্টের ক্ষতি করতে পারে। এটি চাঁদ বা অন্য কোনো গ্রহে সফট ল্যান্ডিং-এর একটি চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, নাসার মার্স অরবিট মিশন প্রজেক্টগুলিতে কাজ করেছেন অমিতাভ ঘোষ। তাঁর মতে, চাঁদের থেকে মঙ্গল মিশন আরও জটিল। তাঁর কথায়,’মঙ্গলে পাঠানো একটি সংকেতের জন্য একটি নিশ্চিত টাইম ট্রাভেল রয়েছে, যেখানে সিগন্যাল পাঠাতে এবং এটি ফিরে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু চাঁদে, সিগন্যাল ট্রান্সমিশন তাৎক্ষণিক এবং মঙ্গল গ্রহের তুলনায় কম জটিল।’ তবে চাঁদের মেরু-অঞ্চলে অবতরণের চেয়ে নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবতরণ কম ঝুঁকিপূর্ণ একথা মানতে চাননি তিনি। তাঁর মতে, মেরু এলাকায় অসম ভূমিরূপ এবং আবহাওয়ার তারতম্যের সমস্যা থাকলেও, চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবতরণ করাও বেশ কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ।