নিউজ ডেস্ক: বন্দে মাতরম গাইতে পারব না। কারণ আমাদের ধর্মে বারণ আছে। বক্তা মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আজমী। তাঁর দল নবগঠিত জোটের সদস্য যার নাম INDIA। অথচ দেশের জাতীয় গান গাইতে আপত্তি জোটসঙ্গী দলের বিধায়কের। জাতীয় গান গাইতে আপত্তি তোলায় নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। তাঁর কড়া শাস্তির দাবী উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
বুধবার মহারাষ্ট্রে সাংবাদিক সম্মেলনে হঠাৎ ওই বিধায়ক বলে ওঠেন “যখন বিধাসভায় যখন বন্দে মাতরম গাওয়া হয় তখন আমি উঠে দাঁড়াই। কিন্তু গাই না। বন্দে মাতরম লেখা পড়ি না কারণ আমাদের আমাদের ধর্মে লেখা আছে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করা যাবে না। কিন্তু আমাকে দেখলেই বন্দে মাতরম বলে অনেকে। যারা এক কাজ করছেন তারা দেশদ্রোহী। তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত”। বিধায়কের এই উক্তির পড়েই শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: PM Modi: মণিপুরের ঘটনায় দোষীদের রেহাই নেই, জানালেন মোদী
এই আগেই একটি মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু কট্টরপন্থীরা নেতাদের বিরুদ্ধে জাতীয় গান এবং জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। অতীতে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মাদ্রাস হাইকোর্ট স্কুল কলেজে সপ্তাহে অন্তত একদিন বন্দে মারতম গাওয়া বাধ্যতামুলক করার নির্দেশ দেয়। সেই সময় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। ওই বছর ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে উত্তরাখণ্ড কংগ্রেস এক মাস বন্দে মাতরম না গাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। উত্তরাখন্ড সরকার নির্দেশিকা জারি করে প্রত্যেক অনুষ্ঠানে বন্দে মাতরম গাইতে হবে। নির্দেশিকার বিরোধিতা করে উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে বর্জিত হয় বন্দে মাতরম। ২০১৯ সালেও মধ্য প্রদেশে ক্ষমতায় এসে কংগ্রেস সরকার সচিবালয়ে মাসের প্রথম দিন বন্দে মাতরম গাওয়া বন্ধ করে দেয়। কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে কর্নাটকের কংগ্রেস নেতাদের এক সভায় বলতে শোনা যায় ‘‘বন্দে মাতরম গাইবেন না!’’ ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবসে প্রদেশ কংগ্রেস পদাধিকারীদের এক সভায় তিনি দলীয় কর্মসূচিতে বন্দে মাতরম পরিহার করার নির্দেশ দেন বলেন অভিযোগ!
কংগ্রেসিদের সহযোগী দলের বিধায়ক বন্দে মাতরমকে অসম্মান করবেন এতে অবাক হওয়ার কি আছে বললেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন অতীতে বহু উদাহরণ আছে সমাজবাদী পার্টির বিধায়কদের জাতীয় গান জাতীয় প্রতীককে অসম্মান করেছে। মানুষের উচিত এদের চিহ্নিত করা। ওই বিধায়কের কড়া শাস্তি দাবি করছি”।