নিউজ ডেস্ক: মুড সুইং শব্দটির সঙ্গে অনেকেই কম বেশি পরিচিত। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে যখনই মুড সুইং কথাটির উল্লেখ হয় তা প্রায় ঠাট্টার পর্যায়ে চলে যায়। কখনো সহপাঠী, বন্ধু, প্রেমিকা বা স্ত্রী হুট করেই রেগে গেলে বা ফ্রাস্টেটেড আচরণ করলে তাঁকে নিয়ে ইয়ার্কি করা হয়। তবে এই মুড সুইং-এ ভুগলে তা বেশ কষ্টকর এটা বোঝেন না অনেকেই। মূলত হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণেই এটা হয়ে থাকে তাই প্রয়োজনে ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া উচিৎ।
মুড সুইং কী?
সহজ ভাষায় মুড সুইং হল খুব দ্রুত আবেগের পরিবর্তন। বিভিন্ন রকমের আবেগ যেমন রাগ, দুঃখ, খুশি ইত্যাদি খুব দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকা। এই হাসছে আবার পর মূহুর্তেই রেগে যাচ্ছে আবার তার পরেই কাঁদছে। এরকম হতে থাকাই মুড সুইং-এর লক্ষণ। হঠাৎ করেই কিছু ভালো না লাগা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, রেগে যাওয়া এবং অপ্রত্যাশিত কোনো কাজ করে ফেলাও মুড সুইং-এর ফলে হয়ে থাকে।
কী কী কারণে হয় মুড সুইং?
বিশ্রামের অভাব
হরমোনাল চেঞ্জ ছাড়াও আরো অনেক কারণেই মুড সুইং হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্রামের অভাব। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মুড সুইং হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে এই কারণে মুড সুইং হয়।
মানসিক অস্থিরতা
কাজের চাপ এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই কাজের চাপ, বেকারত্ব, সম্পর্কে জটিলতা, পারিবারিক অশান্তি, হতাশা প্রভৃতি কারণে কারণে মানসিক অস্থিরতা বাড়ে। আর তাতেই মুড সুইং হয়।
পুষ্টির অভাব
দেহে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ লবণ, আয়রণ, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মুড সুইং-এর অন্যতম কারণ।
পিরিয়ড
মেয়েদের পিরিয়ডের সময় মুড সুইং সবচেয়ে বেশি হয়। পিরিয়ডের এক সপ্তাহ আগে থেকে এক সপ্তাহ পর অবধি হরমোনের ইমব্যালেন্সের জেরে মুড সুইং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় দেহে ক্লান্তি থাকলেও দেহ সচল রাখা জরুরি। তাতে উপকার পাওয়া যায়।