নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণার পরেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শঙ্কায় রয়েছে। এই সূচিতে ২ সেপ্টেম্বর ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ রাখা হয়েছে। এই ম্য়াচ দিয়েই এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু করবে ভারত। সূচি যেভাবে তৈরি করা হয়েছে তাতে ভারত-পাকিস্তান দল এশিয়া কাপে মোট তিনবার মুখোমুখি হতে পারে, তাও আবার ১৫ দিনের মধ্যে। এতেই সমস্য়া বেড়েছে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে এশিয়া কাপের এই সূচি ভারতকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। পাশাপাশি চোট-আঘাতের চোরাস্রোত ভাবাচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে।
ভারত যদি ফাইনালে যায় তাহলে ১৫ দিনে ৬টা একদিনের ম্যাচ খেলতে হবে। আর যদি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যায় তাহলে ম্যাচের সংখ্যা হবে ৫টা যা বেশ ঠাসা ক্রীড়াসূচির মধ্যে পড়ছে। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে আইসিসি’র একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ভারত নামবে ৮ অক্টোবর। তার আগে ১৫ দিনে ৬টা ম্যাচ খেললে প্লেয়ারদের চোট লাগতে পারে। সঙ্গে মিলবে না পর্যাপ্ত বিশ্রাম। যেহেতু বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সিরিজ হচ্ছে এশিয়া কাপ তাই সেটাতে প্রথম সারির প্লেয়ারদের বিশ্রাম দিতে পারবে না। আর একজন প্লেয়ারের চোট মানে বিশ্বকাপে দলের সমস্যা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: Bengal’s Footballer: নিজের গোল নিয়ে চর্চায় নারাজ সৈকত
জানা গিয়েছে এই বিষয়টা নিয়ে বিসিসিআই -এর নির্বাচক কমিটি ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির আলোচনা করছে। যাতে প্লেয়ারদের চোট আঘাত না লাগে সেইজন্য চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁরা। জসপ্রীত বুমরাহ, কেএল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার ও ঋষভ পন্থ বাইরে রয়েছেন। এই তালিকাটা আর বাড়াতে চাইছেন না রাহুল দ্রাবিড়রা। তাঁরা চান প্লেয়ারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে। এশিয়া কাপে নামার আগে ভারতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট। এশিয়া কাপে কবে কবে রয়েছে ভারতের ম্যাচ? গ্রুপস্তরে ভারত দুটো ম্যাচ খেলবে। ২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে ভারত অভিযান শুরু করবে। এরপর ৪ তারিখ নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। অর্থাৎ দুটো ম্যাচের মাঝে মাত্র একদিনের বিরতি পাবেন প্লেয়াররা। যদি দুটো ম্য়াচই ভারত জেতে তাহলে সুপার ফোরে যাবে।
সুপার ফোরে গেলে ভারত জায়গায় থাকবে। আর পাকিস্তান থাকবে এ ওয়ানে। আর ভারতকে খেলতে হবে এ ওয়ান, বি ওয়ান ও বি টু-র বিরুদ্ধে। এখানেই খেলতে হবে মোট পাঁচটা ম্যাচ। ১৭ সেপ্টেম্বর রয়েছে ফাইনাল। যদি ফাইনালে ভারত জেতে তাহলে ৬টা ম্যাচ খেলতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে।