নিউজ ডেস্ক: উত্তাল মণিপুর পরিদর্শন করে কলকাতায় ফিরল তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার মণিপুরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বলেন, “ভয়াবহ পরিস্থিতি ওখানে। যে অত্যাচার হয়েছে যে নৃশংসতা যে ভয়াবহতা এটা ভাবা যায় না কোনো সভ্য সমাজে। এটা হতে দিয়েছে, ওখানকার শুধু রাজ্য সরকার নয় কেন্দ্রের সরকার সমানভাবে দায়ী”।
মণিপুরে রিলিফ পাঠানো নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তো সব ব্যবস্থা নিতে পারব না। সবটাই আমার নেত্রী নেবে। কিন্তু আমরা জেনেছি কি খাদ্যদ্রব্য কি বস্তু বেবি ফুড পর্যাপ্ত পরিমাণে তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে না। কোনো আলো নেই পাখা নেই। পাঁচ হাজার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫৭ হাজার মানুষ ক্যাম্পে রয়েছে। আবার ৬০ হাজার আধা সামরিক বাহিনী নেমেছে। কিন্তু কাজটা মানুষের স্বার্থে যেটা হওয়া উচিত ছিল সেটা ঠিকভাবে হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
মণিপুরের সব বিধ্বস্ত অঞ্চলে তারা যেতে পেরেছে কিনা সেই প্রসঙ্গে বলেন, “মোটামুটি সব জায়গায় আমরা গিয়েছি। ইম্ফলে নেমে হেলিকপ্টারে করে পাহাড়ে গিয়েছি। যে দুর্গম অঞ্চলে জনজাতি গোষ্ঠী তারা বলছে আমরা অত্যাচারিত। আবার সমতলে যারা রয়েছে তারা বলছে আমরা অত্যাচারিত। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে দুই তরফে মানুষ আহত, নিহত ও ঘরছাড়া হয়েছে। এটা সরকারের দেখা উচিত ছিল।
প্রসঙ্গত এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুর নিয়ে করা ব্যবস্থা আশ্বাস দিয়ে বলেন, ” সারা দেশবাসী লজ্জিত। মণিপুরে যা হয়েছে তার জন্য আমি ব্যথিত। আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত। মণিপুরের মেয়েদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা কখনও মাফ করা হবে না”। কড়া আইনি পদক্ষেপের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে এই প্রথমবার প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে মোদী বলেন, “এই গণতন্ত্রের মন্দিরের পাশে যখন দাঁড়িয়ে আছি তখন আমার হৃদয় ক্ষোভ ও দুঃখে পরিপূর্ণ। আমি সব মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ করব তারা যেন নিজেদের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে আরও কঠিন কঠোর হন”।