নিউজ ডেস্ক: ‘এক চুটকি সিন্দূর কি কীমত তুম কেয়া জানো…’ জনপ্রিয় ডায়লগটি রিল জগতের। কিন্তু রিল টপকে রিয়েল লাইফে যে সঠিক সময়ে প্রস্রাব চাপতে না পারার মূল্য হিসেবে খরচ করতে হতে পারে ৬০০০ টাকা, তাই বা কল্পনা করতে পারে কজন! শুনতে অদ্ভুত লাগলেই এমনটাই ঘটল মধ্যপ্রদেশের সিংরৌলির বাসিন্দা আব্দুল কাদিরের সঙ্গে।
ঘটনা ১৫ জুলাইয়ের। শুকনো ফল-ব্যবসায়ী আব্দুল স্ত্রী এবং ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন হায়দ্রাবাদ থেকে। বিকেলে ভোপাল স্টেশন পৌঁছে সিংরৌলির ট্রেন ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। সেই সময় প্রকৃতির আকস্মিক ডাকে প্রস্রাব পেয়ে যায় আব্দুলের। সেই সময় ভোপাল স্টেশনে ইন্দোরগামী বন্দেভারত এক্সপ্রেস এসে দাঁড়ালে আশেপাশে প্রস্রাবের জায়গা না দেখতে পেয়ে আব্দুল তড়িঘড়ি উঠে যান বন্দেভারতেরই একটি কামরার টয়লেটে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আগেই স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যায় ট্রেন। ডোর-লক সিস্টেম চালকের হাতে থাকায় ট্রেনেই আটকে যান আব্দুল। এরপরই বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠার অপরাধে তাকে চোকাতে হয় ১০২০ টাকা জরিমানা। পরবর্তী স্টেশন উজ্জ্বয়িনীতে ফের ট্রেন থামলে মুক্তি পান তিনি। এরপর ফের ভোপাল ফিরতে তাকে সেখান থেকে কাটতে হয় ৭৫০ টাকার বাস-টিকিট। অন্যদিকে, আব্দুলকে না পেয়ে বাড়ি ফেরার ট্রেনে উঠতে পারেন নি তার স্ত্রী-পুত্রও। এরজন্য তাদের অপচয় হয় ৪০০০ টাকার টিকিট ভাড়া। এক কথায় প্রস্রাব চাপতে না পেরে তড়িঘড়ি করার মাশুল হিসেবে আব্দুলকে দিতে হলো প্রায় ৬০০০ টাকার গচ্চা। যদিও বন্দেভারতে এভাবে বাথরুম করতে গিয়ে ফেঁসে যাওয়ার মধ্যে তেমন কোনও ভুল খুঁজে পান নি তিনি, বরং এরজন্য বন্দেভারতের সিস্টেমকেই দুষছেন আব্দুল।