নিউজ ডেস্ক: দলের রাশ এখন তার হাতে বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক। মমতাকে পাশে বসিয়ে দুটি বড় কর্মসূচি ঘোষণা করে দিলেন অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমত দিল্লিতে ২ অক্টোবর কৃষি ভবন ঘেরাও। দ্বিতীয় হল ব্লক স্তরে
বিজেপি স্তরে নেতাদের বাড়ি ঘেরাও। ১০০ দিনের কাজের টাকা
আদায় করে আনার হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, “দিল্লিতে ২ অক্টোবর কৃষি ভবন ঘেরাও হবে। দিল্লি চলোর ডাক দিলাম।
কৃষি ভবনের সামনে আন্দোলন হবে। পেয়ে ধরব না নিজেদের অধিকার
কেড়ে আনব”।
অন্যদিকে ৫ আগস্ট সোমবার সকাল ১০ টা থেকে
সন্ধায় ৬:০০ পর্যন্ত জেলায়, ব্লকে,
এলাকায় বিজেপি নেতাদের তালিকা তৈরি করে তাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন অভিষেক। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “৩৪১ টা ব্লকে গণঘেরাও কর্মসূচি হবে। বাড়ির লোকেদের
অসুবিধে করবেন না, তবে বিজেপি নেতাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে দেবেন না”। অন্যদিকে মণিপুর
প্রসঙ্গে তৃণমূলের নম্বর ২ এর বক্তব্য, “ইডি সিবিআই ডাকলে ডেট মিস হয় না। অথচ মণিপুরে ৮০ দিনের আগের ঘটনায়
দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হয়নি”। প্রসঙ্গত
মণিপুরের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তা সত্বেও অভিষেকের এই বক্তব্য মিথ্যে
তথ্য পরিবেশন অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: বিজেপি জয়ী হওয়ায় এলাকায় পুলিশি মোতায়েন করে ভয় দেখানোর অভিযোগ বিধায়কের
প্রসঙ্গত লোকসভার আগে এটি শেষ ২১-এর সমাবেশ। ২০২৩-এর পঞ্চায়েতে ব্যাপক সন্ত্রাস হয় রাজ্যজুড়ে।
ছাপ্পা রিগিংয়ের অভিযোগ থাকা নির্বাচনে সমর্থনের জন্য অভিষেক
তাদের দলের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। ভোটপ্রসঙ্গে
অভিষেক বলেন, “এবারের ভোটে ব্যবধান ৩০ শতাংশের হয়েছে। ৫২ শতাংশ
পেয়েছে তৃণমূল। ২২ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। ইডি সিবিআই লাগিয়ে তৃণমূলকে দমানো
যাবে না। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা। ঘাসফুল কেটে শেষ করা যায় না”।