নিউজ ডেস্ক: সাফারিতে সদ্যভূমিষ্ঠ রয়্যাল বেঙ্গল ব্যাঘ্র শাবকের মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ভিসেরা টেস্টে। ভিসেরা টেস্টের ওপর নির্ভর করছে শিডিউল এক রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের মৃত্যুর তদন্তের নিষ্পত্তি। নিয়ম অনুযায়ী শিডিউল এক রয়্যাল বেঙ্গল মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার অন্তেষ্টিক্রিয়া থেকে পুরো বিষয়টিতে কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকায় সে সবটাই উল্লেখ্য রয়েছে। সেক্ষেত্রে শিডিউল এক প্রজাতির অন্তেষ্টিক্রিয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী রয়েছে।
বেঙ্গল সাফারিতে রয়েল বেঙ্গল বাঘিনী কিকার সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যুর পর তাকে গাইডলাইন অনুযায়ী সাফারির বনভূমির মাটিতে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নিমজ্জিত রাখা হয়েছে। আবার একইভাবে গাইডলাইন অনুযায়ী শিডিউল এক প্রজাতির বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেশের পাশাপাশি তার ভিসেরা টেস্টের জন্য পাঠাতে হয় বন্যপ্রাণীর দেহাংশের নমুনা।
আরও পড়ুন: Chinese Spy: গোয়েন্দা সন্দেহে চিনা নাগরিক গ্রেপ্তার, জানুন তার আসল পরিচয়
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই সাফারি তরফে অরণ্যভবনে পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাফারি সূত্রে জানা গিয়েছে ১২ জুলাই বাঘ কিকার সদ্য ভূমিষ্ঠ দুই সন্তানের একটি স্ত্রী ব্যাঘ্র শাবকের মৃত্যু হয়। সাফারি সূত্রের খবর জন্মের ১৫-২০ মিনিটের মাথায় মৃত্যু হয়। তবে তা বুঝে উঠতে সাফারির বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। ময়নাতদন্তের পরই ১৩ জুলাই মৃতদেহের যকৃৎ, কিডনি, পাকস্থলী,অপূর্ণাঙ্গ পরিপাক তন্ত্র নমুনা হিসেবে পাঠানো হয় ভিসেরা পরীক্ষায়। কলকাতা ফরেন্সিক সাইয়েন্স ল্যাবেটরিতে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। সে রিপোর্ট হাতে এলে ঠিক কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিষ্পন্ন হবে। ঠিক কীভাবে আচমকা শারীরিক স্থিতির এতটা অবনতি হল তাও খতিয়ে দেখবে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সাফারি সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যাঘ্র শাবকের ওপর মা বাঘিনী চিতা বন্যপ্রাণীদের সহজাত স্বভাববশত আদর দেখভাল করতে গিয়েই স্ত্রী শাবকটির ওপর শরীরের ভার নিয়ে হেলে পড়ে। আচমকা মা বাঘিনী শিলার শরীরের ভার ওই ব্যাঘ্র শাবকের ওপর পড়ায় হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হৃদযন্ত্র ও শ্বসনতন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি কিকার প্রসবকালীন সময় মোটামুটি ভাবে সাফারি কর্তৃপক্ষের জানার পরও সেই সময়তে চিকিৎসক অনুপস্থিত ছিলেন বলেই সাফারি সূত্রে জানা গিয়েছে। টিকার প্রসবকালীন ১০ দিন বাকি রয়েছে সে সময়কালে কিভাবে চিকিৎসকের ছুটিতে পাঠানো হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে? যদিও সাফারি কর্তৃপক্ষের তরফে কোনো বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তারা।