নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার দুপুরে বজ্রপাতের ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ও চন্দ্রকোনা থানা এলাকায় তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে দুইজন। জানা গিয়েছে শুক্রবার দুপুরে কেশপুর থানার ভোলসরাপোতা গ্রামে চাষের জমিতে কাজ করছিলেন কয়েকজন। সেই সময় মাঠেই চাষের জমিতে বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে, ঘটনাস্থলেই মারা যায়, মমতা দোলই ও খোকন দোলই । আহত হয় একজন মহিলা ও একজন পুরুষ । আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। বজ্রপাতের ঘটনায় আহত দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। আহত দুজনের গোটা শরীর আগুনে ঝলসে গিয়েছে।
কেশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত মমতা দোলই ও খোকন দোলইয়ের মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। অপরদিকে শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত বান্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী তুলসী শী নামে এক মহিলা মাঠে গরু চরাতে গিয়েছিল। সেই সময় আচমকা বাজ পড়ে। তার গোটা শরীর আগুনে ঝলসে যায়। তার পরিবারের লোকেরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। তাকে দেখার পর ডাক্তার বাবুরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: Cub Died: সাফারিতে ব্যাঘ্র শাবক মৃত, চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বজ্রপাতের ঘটনায় তুলসী শী মারা গেলেও তার সাথে থাকা গরুগুলি প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। তবে বজ্রপাতের ঘটনায় কেশপুর ও চন্দ্রকোনা টাউন থানার বান্দিপুরে তিনজনের মৃত্যু ও দুইজন আহত হওয়ার ঘটনায় মৃত তিন জনের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। বজ্রপাতের ঘটনায় দুইজন মহিলা ও একজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ। ওই ঘটনার ফলে কেশপুর ও চন্দ্রকোনা টাউন থানা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।