নিউজ ডেস্ক: এখনই নিস্তার নেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। মোদী পদবি মামলার প্রথম দিনের শুনানিতে কোনও রায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। বদলে, রাহুলের আবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগকারী বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীকে নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে মামলায় অবস্থান জানতে চেয়ে গুজরাত সরকারকেও একটি নোটিশ পাঠিয়েছে বিচারপতি বি আর গাবাই এবং বিচারপতি পি কে মিশ্রর বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৪ আগস্ট।
শুক্রবার মামলার শুনানির শুরুতে কংগ্রেস নেতার শাস্তিতে ‘অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ’এর দাবি জানান আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর কথায়, ১১১ দিন ধরে এই মামলার জন্য ভুগছেন রাহুল। সংসদের একটি অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি তিনি। পরবর্তী অধিবেশনেও থাকতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হলে ‘ওয়ায়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে লড়াইয়ের জন্য যেকোনও সময়ে কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যেতে পারে’ বলে জানান সিঙ্ঘভি।
কংগ্রেস নেতার আইনজীবীর এই আবেদনে বিচারপতি গাবাই বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার নিষ্পত্তি করতে চায়ছে আদালত’। কিন্তু অন্য পক্ষের বক্তব্য না শুনে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে জানান তিনি। আর তাই দুটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দেবেন মামলাকারীরা। তবে অভিযোগকারী রাহুলের শাস্তির পক্ষেই সহমত জানাবে তা স্পষ্ট বলে জানান আইনজীবী সিঙ্ঘভি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় মোদী পদবি উল্লেখ করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর সেই বক্তব্যের বিরুদ্ধে সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বিজেপি বিধায়ক পূর্নেশ মোদী। মামলায় রাহলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন মামলা করেন রাহুল। কিন্তু সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল।