নিউজ ডেস্ক: চিংড়িঘাটা পেরিয়ে সায়েন্স সিটির দিকে এগোতেই একুশে জুলাইয়ের কলকাতা যেন আস্ত একটা পিকনিক নগরী। ১০ মিটার অন্তর অন্তর দাঁড়িয়ে বাস। কোনোটি এসেছে বাদুড়িয়া, কোনোটি বারাসাত, কোনোটা আবার গাইঘাটা থেকে।
ততক্ষণে মঞ্চে উঠে পড়েছেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর গিয়ে লাভ নেই। অতএব পেট পুজো। সব থেকে মনোরম লোকেশন বাইপাস লাগোয়া ক্যাপ্টেন ভেড়ি। পিকনিকের একদম মনোরম পরিবেশ বলে কথা। বিশাল ঝিলে টলটলে জল। মাথার ওপর মেঘলা আকাশ। কখনো হাল্কা বৃষ্টি। মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি মাঝে গরমও তেমন নেই। খুব হাওয়া দিচ্ছে। ব্যাস। সার দিয়ে বনভোজনের মুডে দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: Cub Died: সাফারিতে ব্যাঘ্র শাবক মৃত, চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
খাওয়া দাওয়া করে আর কি পৌঁছানো যাবে ধর্মতলা? শোনা যাবে দিদির ভাষণ? সলাজ হেসে প্রশ্ন এড়ালেন বাদুড়িয়ার পঞ্চায়েত নেত্রী এবং এই ৭৫ জনের টিম লিডার। পাতে পড়ল ভাত, ডাল, মুরগির মাংস, ধোকার ডালনা, ডিম, চাটনি। সে একেবারে জমজমাট ব্যাপার। এভাবেই প্রতিবছর শহিদ দিবসের নামে পিকনিকের সাক্ষী থাকে তিলোত্তমা। দিদি, ইন্ডিয়া, জোট এই সব তাত্বিক কচকচানি সব হার মানে পেটপুজোর কাছে।