নিউজ ডেস্ক: একুশের আন্দোলন ছিল যুব কংগ্রেসের আন্দোলন। ছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মারা গিয়েছিলেন কংগ্রেসের কর্মীরা। এখন তৃণমূল মৃতদের নিজের শহিদ বলে চালায়। কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার। কংগ্রেসের জোটে সেদিনের আন্দোলনের সব পক্ষই শামিল। রাজনীতির এই জটিল অংককে সহজ ভাষায় কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন “কিছু দিন আগে এরা তিন জগাই মাধাই বিদায়ী ব্যাঙ্গালোরে ইটিং সিটিং ফিটিং করে ফেলেছে। কে কার সঙ্গে আর কে কার বিপক্ষে বোঝা মুশকিল”।
শুক্রবার একুশে জুলাইয়ের সভা চলাকালীন সারা বাংলা জুড়ে বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। ময়দানে নামেন বিজেপির রাজ্য স্তরের বহু নেতা। বহু জায়গায় ধ্বস্তাধ্বতি হয় প্রশাসনের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের। বিরোধী দলনেতা এদিনের আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, “ তৃণমুল ভয় পেয়ছে। সেকারণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বলেছে বিডিও অফিসে কেউ ঢুকতে পারবে না। আধা কিলোমিটার আগে থেকে বিডিও অফিসে ঢোকা বারণ করেছে। বিডিওদের দিয়ে ভোট লুঠ করিয়েছে। সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর ডায়মন্ড হারবার। ভাইপো পুলিশ এবং সঙ্গে এসডিও বিডিও ত্রয়ী। ৪০০ আসনে বুথ লুঠ করেছে। গণনায় কারচুপি করেছে। বুথ সভাপতি ভোলানাথ মণ্ডলকে খুন করেছে অথচ এফআইআর করতে দেয়নি। আমি সেই এফআইআর করার ব্যবস্থা করব”।
আরও পড়ুন: 21 July: দিদির তাত্ত্বিক কচকচানি হার মানল পেটের কাছে
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় গলদকে প্রশাসনিক গাফিলতি বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “উদ্বেগের বিষয়। পুলিশকে দিয়ে বাজার করানো, রাখীবন্ধন, ফুটবল খেলা, ভোট লুঠ আর গণনায় কারচুপি ক্রানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দেবে কীভাবে। কালীঘাট থানার ওসি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে সাসপেন্ড করা উচিত”।