নিউজ ডেস্ক: নিজেকে প্রেজেন্টেবল তৈরি করতে অনেকেই ভালো জামা কাপড়ের উপর গুরুত্ব দেন বেশি। আউটফিট পছন্দের জন্য তাই বডি টাইপ নিয়েও প্রচুর রিসার্চ করে ফেলেন। কিন্তু তারপরেও নিজের মধ্যে সেই কনফিডেন্স অনুভব করেন না। মনে হয় এত ভালো জামা কাপড় পড়েও একটুও স্মার্ট লাগছে না বা অপরদিকে বসে থাকা কোন মানুষের সাথে কথা বলতেও দ্বিধাবোধ হয়।
শুধুমাত্র পোশাকের উপরেই স্মার্টনেস, সৌন্দর্য ও কনফিডেন্স নির্ভর করে না। তার জন্য কাজ করে আরো অনেকগুলি ফ্যাক্টর। আমাদের দেহেই লুকিয়ে আছে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনুভব করার চারটি মূল মন্ত্র। কি সেই চারটি মূল মন্ত্র চলুন জেনে নেওয়া যাক।
দেহের ভঙ্গি: দেহের ভঙ্গির উপরে আপনার স্মার্টনেস সব থেকে বেশি নির্ভর করে। দাঁড়ানোর সময় ঝুঁকে না দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। দীর্ঘদিন পূজো হয়ে বসার ফলে দাঁড়ানোর সময়ও সেই কুজোভাবটা থেকে যায় তার থেকে মাথা যদি সামনে এগিয়ে থাকে তাতে আপনি যাই পড়ুন না কেন আপনাকে স্মার্ট দেখাবে না। মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ালে বা বসলে তাতে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখায়।
আই কন্টাক্ট: নিজেকে আত্মবিশ্বাসী দেখানোর জন্য আই কন্টাক্ট ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যতই ঘাবড়ে থাকুন না কেন অপরদিকে বসে থাকা মানুষটির সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারলে দেখবেন নিজেনিজেই নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনুভব করবেন।
হাঁটার স্টাইল: হাঁটা-চলার মধ্যেও আত্মবিশ্বাস অনেকখানি লুকিয়ে থাকে। আপনি কিভাবে হাঁটছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার স্মার্টনেস। পৃথিবীতে পার্ফেক্ট হাঁটার কোন নিয়ম নেই। তবে চেষ্টা করবেন এক লাইনে হাঁটতে। ডান পা ঠিক যে জায়গায় বসবে বাম পাও সামনে ঠিক সেই জায়গায় পড়বে। তাহলেই দেখবেন আপনার হাঁটার স্টাইল বদলে গেছে।
হাসি: সবশেষে হাসি। হাসি হচ্ছে একটি বোনাস পয়েন্টের মত। ইংরেজিতে যাকে ‘চেরি অন টপ’ বলে ঠিক তেমনি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য হাসিও মহা ঔষধের কাজ করে। হাসি পরিবেশের মধ্যে পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেয় তাতে আপনি নিজের মধ্যেও পজিটিভিটি ও আত্মবিশ্বাস অনুভব করতে পারবেন।