নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমের পর অবশেষে বর্ষার দেখা মিলেছে। তবে বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লেগে যায় হামেশাই। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে তাদের কাছে বর্ষাকাল মানেই অন্য এক আতঙ্ক। বৃষ্টিতে ভিজে অফিসে দীর্ঘক্ষণ এসির মধ্যে থাকলে ঠান্ডা জাঁকিয়ে ধরে। টনসিলের সমস্যায় এই ঠান্ডা আরো মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বায়ুবাহিত জীবাণুর ফলেই সর্দি কাশি ও টনসিলে সংক্রমণ হয়। গলা ব্যথার পাশাপাশি ঢোক গিলতে ও খাবার খেতেও কষ্ট হয়। তবে টনসিলের সমস্যায় ওষুধের চেয়েও ভালো কাজ দেয় কিছু ঘরোয়া টোটকা।
মুখগহ্বরের শেষে গলার দুপাশে টনসিল থাকে। মূলত নাক,কান,গলা ও মুখ থেকে যে জীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করে তাকে বাধা দেওয়াই এর কাজ। তাই টনসিল নিজে আক্রান্ত হলে দেহে অন্যান্য রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে কোন কোন ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে টনসিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
নুন-জল: টনসিলের সমস্যায় প্রথমেই মনে আসে নুন জলের কথা। উষ্ণ গরম জলে নুন মিশিয়ে গারগেল করলে টনসিলের ব্যথা অনেকটাই কমে। এছাড়াও ফুটন্ত গরম জলের ভাপও নেওয়া যায়।
গরম দুধ: বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লাগলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ গরম দুধ খেলে উপকার পাওয়া যায়। এই দুধে অল্প হলুদ ও মেশানো যেতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান সর্দি কাশির হাত থেকে দেহকে বাঁচায় ও দেহে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
আদা-চা: দেহকে সুস্থ রাখতে আদার জুড়ি মেলা ভার। চায়ের সাথে আদা জলে ফুটিয়ে তাতে হালকা চিনি ও এক চিমটি নুন মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগায় উপকার পাওয়া যায়। আদায় উপস্থিত জিনজেরল উপাদানটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিক্সিডেন্টে ভরপুর। যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে ইমিউনিটি ও হজমের ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।