নিউজ ডেস্ক:
মণিপুরে মহিলা নির্যাতনের খবর আগে থেকে ছিল তাদের কাছে। কিন্তু মহিলাদের বিবস্ত্র করে
রাস্তায় হাঁটানো এবং গণধর্ষণের সেই অভিযোগ কার্যত উপেক্ষা করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন।
মণিপুরের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন উত্তাল জাতীয় রাজনীতি, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে
এল এমন তথ্য।
সর্বভারতীয়
এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত জুন মাসে দু’জন সমাজকর্মী এবং দক্ষিণ আমেরিকার মণিপুর
ট্রাইবাল অ্যাসোসিয়েশন’এর তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় জাতীয় মহিলা কমিশনে। সেখানে
পরিষ্কার বলা হয়, কুকি-জোমি জনজাতি মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে মেইতেই সম্প্রদায়ের
কয়েকজন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করারও আবেদন জানান হয় অভিযোগ পত্রে। কিন্তু আবেদনকারীদের
দাবি, মহিলা কমিশনের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে ওই অভিযোগপত্রের একটি
প্রতিলিপিও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে, এই
তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই অভিযোগ পাওয়ার ঘটনা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের
চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। তবে গাফিলতির দায় মণিমুর সরকারের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তাঁর দাবি, মহিলা কমিশনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। আসলে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার
মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিং’কে জানান হলেও সরকারের তরফে কোনও জবাব আসেনি। তিনি আরও বলেন,
“শুধু এই ঘটনা নয়। আমাদের কাছে আরও অনেক ঘটনার অভিযোগ এসেছে। কিছু অভিযোগ আবার মণিপুর
এবং ভারতের বাইরে থেকেও এসেছে আমাদের কাছে।”
প্রসঙ্গত,
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। অভিযোগ, পরের
দিন অর্থাৎ ৪ মে ঠৌবল জেলার নংপোক সেকমাই থানার থেকে একটু দূরে ওই দুই মহিলার উপর হামলা
হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম
কোর্ট। আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে মণিপুর এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে ঘটনার রিপোর্ট তলব
করেছে শীর্ষ আদালত। এদিকে, ঘটনায় যুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে মণিপুর পুলিশ।