নিউজ ডেস্ক: আইসিস জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সন্দেহে শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ফাইজান আনসারি। এবার ১৯ বছরের সেই পড়ুয়ার সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে দেখা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গরমের ছুটি শেষ হওয়ার পর ধৃত পড়ুয়ার সমস্ত তথ্য আতশ কাঁচের নীচে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মহম্মদ আসীন।
আসীন জানান, ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয় আনসারি তথা ফাইজ। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের জন্য আবেদন জানায় সে। যদিও ঘর ফাঁকা না থাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে হয় ফাইজকে। এখনও পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষাতেই বসে সে। পড়াশোনায় তার কোনও গাফিলতি চোখে পড়েনি বলেই জানিয়েছেন আসীন। তবে ভর্তির সময় ফাইজ কোনও জাল কাগজপত্র জমা দিয়েছে কি না! তা এখন খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি একটি মামলার ভিত্তিতে দেশজুড়ে আইসিস মডিউল ধ্বংসের কাজে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। গোপনে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা জেলায় আনসারির দেশের বাড়ি তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। উত্তরপ্রদেশে তার ঘরেও তল্লাশি চালানো হয়। দু’দিনের সেই অভিযানে আইসিস সংক্রান্ত প্রচুর কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে আনসারির বাড়ি থেকে। সেইসঙ্গে একাধিক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও পাওয়া গিয়েছে। অবশেষে ১৯ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ অনুসারে মামলা রুজু করা হয়েছে আনসারির বিরুদ্ধে।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইসিস’এর আদর্শ মেনে চলার শপথ নিয়েছিল ফাইজ। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আইসিস’এর মতাদর্শ প্রচারের কাজ শুরু করে সে। পাশাপাশি ভারতের একাধিক জায়গায় নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্ত ফাইজান এবং সঙ্গীদের। আইসিস নেতাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। এনআইএ সূত্রে খবর, ভারতে আইসিস জঙ্গিদের নয়া ক্যাডার বানানোরও দায়িত্ব ছিল তার উপর।