নিউজ ডেস্ক: কানের দুল মেয়েদের অন্যতম সাজসজ্জার অলংকার হিসেবেই গণ্য করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই কানের দুল পরার চল চলে আসছে। আর তাই কম বয়সেই ছোট বাচ্চা মেয়েদের কান ফুটিয়ে দেওয়ার কথা মনে করেন অনেকেই। বাবা মা দাদু ঠাকুমা এমনকি পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সবাই বাচ্চা একটু বড় হওয়ার পরেই কান ফুটিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। আগে একটা সময় ছিল যখন বাড়িতেই কোন বয়স্ক মহিলা কান-নাক ফুটিয়ে দিতেন। সরু সোনামুখী ছুঁচ গরম করে তাতে সুতো পরিয়ে কান ফুটিয়ে দিতেন অভিজ্ঞ হাতে। সেই সুতো রয়ে যেত বেশ কিছুদিন তারপরে ক্ষত শুকিয়ে এলে নিমকাটি বা সোনার দুল পরিয়ে দিতেন মেয়ের কানে। এখনো গ্রামের দিকে এইভাবে কান ফোটানো চল রয়েছে।
কিন্তু শহুরে আদব-কায়দায় বেড়ে ওঠা বাবা মায়েরা বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে একটু বেশি সচেতন। এইভাবে বাড়িতে কান ফোটানোর পক্ষপাতী নন তারা। এতে ইনফেকশনের ভয় থেকেই যায়। তাই এখন বেশিরভাগ বাবা-মায়েরা ভরসা করে গান শট পিয়ার্সিং এর উপর। আবার সার্জিকাল ছুঁচ দিয়েও কান ফোটানো যায় এখন। তবে ঠিক কোন বয়সে কান ফোটানো উচিত বা কান ফোটানোর পর কী কী করণীয় তা জানেন না অনেকেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বয়সে কান ফোটানো বাচ্চাদের পক্ষে আদর্শ এবং কান ফোটানোর জন্য কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
- শহরের আনাচে-কানাচে এখন গড়ে উঠেছে পিয়ার্সিং পার্লার তাই একটু খোঁজ খবর নিয়ে অভিজ্ঞ লোকের কাছ থেকেই গান শট পিয়ারসিং করানো যেতে পারে।
- আজকাল অনেক পিয়ার্সিং পার্লারেই অ্যানাস্থাশিয়া স্প্রে করে গান শট পিয়ার্সিং করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার বাচ্চার ব্যথা পাওয়ার ঝুঁকি কম।
- আগেকার দিনে কন্যা শিশু জন্মানোর কিছুদিন পরেই ‘কর্ণবেধ’ অনুষ্ঠান করা হতো। যা মূলত কান ফোটানোরই একটি অনুষ্ঠান। মোটামুটি ছয় মাস বয়সেই এই অনুষ্ঠান করা হলেও দেড় দু বছর বয়সের মধ্যেই কান ফুটিয়ে নেওয়া ভালো।
- কান ফুটাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চার মানসিক অবস্থার খেয়াল রাখা জরুরী। যদি দেখেন আপনার বাচ্চা কান ফোটাতে খুব ভয় পাচ্ছে বা ভীষণ কান্নাকাটি করছে তাহলে তাকেও কান ফোটানোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার সময় দিন। বড় বয়সেও কান ফোটালে ক্ষতি নেই।
- সর্বশেষে ইনফেকশন বা কোনরকম অ্যালার্জির হাত থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক মলম বা ওষুধ ব্যবহার করুন।